পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, ডিলার ও সেবনকারীদের তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হবে। এর সঙ্গে নিয়মিত মামলাও দায়ের হবে। গতকাল সকালে কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। একই সাথে সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে র্যাবের সাফল্যের বিষয়টি এ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। র্যাব ডিজি সারাদেশে মাদক সেবীদের মাদক সেবন ছেড়ে দেয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, খুচরা বিক্রয়কারী, সেবনকারী, দেশের বাহির থেকে যারা মাদক নিয়ে আসছেন- তারা বন্ধ করবেন। যাদের কাছে অবিক্রীত মাদক আছে, সেগুলো র্যাবের ক্যাম্পের পাশে রেখে আসবেন।
বিচারিক কর্মকর্তাদের তিনি অনুরোধ করে বলেন, জঙ্গি ও মাদক এ দুই অপরাধ আপনারা সম অপরাধ মনে করবেন। আইনজীবীদের প্রতি তিনি বলেন, মাদকের ডিলারদদের আপনারা আইনের ফাঁক ফোকরের সুবিধা দিবেন না। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণার প্রেক্ষিতে গত ৪ মে থেকে র্যাব বিশেষ অভিযান শুরু করে। গত ৯ দিনে র্যাবের বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১ হাজার ৪১৫ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে সাজা দেয়া হয়েছে। ২০ লাখ টাকার বেশি আর্থিক জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ১৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ৩৮১ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন আরো কঠোর করে দ্রæত হালনাগাদ করে প্রণয়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহŸান জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদক পরিবহনে গণপরিবহনের পাশাপাশি অনেক সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহৃত হয়। মালিকরা গাড়ি কোন কাজে ব্যবহৃত হয় বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাহিদা ও যোগান দুই জায়গাতেই কাজ করতে হবে জানিয়ে বেনজীর বলেন, সমস্যাটা অনেক পুরোনো, ধৈর্যসহ ফোকাস করতে পারলে এটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যদি কোনো বাহিনীর সদস্যরা মাদকের কোনো স্তরে জড়িত থাকেন, আশা করব তারা সতর্ক হবেন, এ পথ থেকে সরে আসবেন। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক অভিযান নয়, সামগ্রিক অভিযান। কাউকে বাদ দিয়ে নয় এবং কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। যারা জড়িত সবার বিরুদ্ধে অভিযান বলবৎ থাকবে। গণমাধ্যমের প্রতি আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের স্থান বা জড়িত ব্যক্তির বিষয়ে আপনারা প্রচার করুন, আমরা সেখানে যাব। র্যাব প্রতিষ্ঠার পর গত ১৪ বছরে ৬৮ হাজার ৪৯৮ জন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।