Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভার বৈঠক- কোটা আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১৯ এএম, ১৫ মে, ২০১৮

পঞ্চায়েত হাবিব : সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে যারা আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা নিয়ে আমি তো আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি। এসময় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তায়নে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তারজন্য সময়ের প্রয়োজন। তারপরও দ্রæত বাস্তবায়নের নামে আন্দোলনকারীরা হুমকি দিচ্ছে। এটা সম্পন্ন বাড়াবাড়ি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নামে আল্টিমেটাম দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ প্রতিত্রিক্রয়া ব্যক্ত করেছেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপ শিক্ষার্থীদের চলা আন্দোলন নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী কথা বললে জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিসভায় উপস্থিত থাকা একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নাম প্রকাশ না করে ইনকিলাবকে জানান, সা¤ক্স্রতিক কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দফায় দাফায় আল্টিমেটাম প্রসঙ্গ তোলেন সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রী। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো কোনো মহল কোটার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা দ্রæত সমাধান করা যায় কিনা সে বিষয়ে একটু ভাবুন। কারণ, এর সমাধান বিষয়ে আপনিই ঘোষণা দিয়েছেন। তার আরো বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করছে। শাহবাগে রাস্তায় অবরোধ করায় সাধারণের চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। কোনো কোনো মহল এটি নিয়ে ঘোলাটে করার অপচেস্টা করছে। এসময় তিনি বলেন, আমি তো বলেছি কোটা থাকবে না। এরপরও আল্টিমেটাম, আন্দোলনের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এটার তো কোনো যুক্তি নেই। আমরা এটা করবো। কিন্তু এখনই এটা করতে হবে? এ জন্য তো সময় লাগবে। কোটার বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। তারপরও হুমকি দেয়াটা বাড়াবাড়ি।বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোনো কোনো মহল কোটার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা দ্রæত করা যায় কি-না সে বিষয়ে একটু ভাবেন। কারণ, এর সমাধানের বিষয়টি তো আপনিই দিয়েছেন। আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রী অংশ নেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা করছে করুক। যৌক্তিক কোনো সমালোচনা থাকলে করতে পারে। কিন্তু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে কেন? এ স্যাটালাইটের মালিকানা সরকার ছাড়া অন্য কারও হওয়ার সুযোগ নেই। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের স¤প্রচারের জন্য বাইরে টাকা দিতে হতো। এতে প্রচুর পয়সা ব্যয় হতো। এখন সে টাকা আমাদের সাশ্রয় হবে। বিএনপি নেতারা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো না বুঝে আন্দাজে কথা বলছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে পূর্বঘোষিত কমসূচি অনুযায়ী গতকাল সোমবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করবেন বলে জানান।



 

Show all comments
  • শামীম ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৪০ এএম says : 0
    ক্ষুব্ধ হয়ে কোন লাভ নেই প্রজ্ঞাপণ জারি করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুল হান্নান ১৫ মে, ২০১৮, ১১:২০ এএম says : 0
    ক্ষুদ্ধ হওয়া স্বৈরাচারী মানষিকতার বহিঃ্প্রকাশ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ