পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নতুন ব্যবস্থাপনায় অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে ফারমার্স ব্যাংক। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ ও ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ আলমসহ চার পরিচালক বাদে অন্য পরিচালকরা পদত্যাগ করেছেন। ব্যাংকটির আগামী বোর্ড সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের চারজন এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) একজন পরিচালক হিসেবে যোগ দেবেন। তাদের সঙ্গে আরও দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সরকারি চার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিরা ফারমার্স ব্যাংকের শেয়ার কেনার জন্য ইচ্ছাপত্র (ইওআই) পরিষদে জমা দিয়েছেন। এটি অনুমোদন হলে প্রতিষ্ঠানগুলো মূলধন জোগান দিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন তারা।
ফারমার্স ব্যাংকের উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, গত মাসেই ব্যাংকটির পরিষদ থেকে সব পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ব্যাংকের পর্ষদও সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে। আগামী বোর্ড সভাতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের পাঁচ জন পরিচালক যুক্ত হবেন।
জানা গেছে, ব্যাংকটির পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তারা পদত্যাগ করেছেন তারা। তবে একজন উদ্যোক্তা পরিচালক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের চাপে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ একজন মাসুদ শিল্প উদ্যোক্তা। তিনি ম্যানস এটায়ারস লিমিটেড, সানওয়ারার কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড এবং নূর শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নতুন ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ আলম শেয়ার ট্রেডিং কোম্পানি খুরশীদ আলম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের বছর হওয়ায় সরকার ব্যাংকটি বন্ধ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। এ কারণে ব্যাংকটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক ১৬৫ কোটি টাকা করে মোট ৬৬০ কোটি টাকা এবং আইসিবি ৫৫ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ৭১৫ কোটি টাকার মূলধনের জোগান দেবে। ফারমার্স ব্যাংকে অনুমোদিত মূলধন রয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০১ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। ফলে ব্যাংকটিতে মূলধনের প্রায় ৬৪ শতাংশ থাকবে সরকারি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের দখলে। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের এমডিরা পদাধিকার বলে ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন। বর্তমানে দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচুয়্যাল ফান্ড ও বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকার্ম মিউচুয়্যাল ফান্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ফারমার্স ব্যাংকের পরিষদে ১২ উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন। এর মধ্যে রেইসের চারজন বাদে বাকি ৮ জন ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তা পরিচালক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটিতে সরকারের শেয়ার থাকবে ৬৪ শতাংশ। আর বেসরকারি উদ্যোক্তাদের শেয়ার থাকবে ৩৬ শতাংশ। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’ এর ১৪ক এবং ২৬ক ধারার বিধান পরিপালন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের পরিষদে রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ৫ প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধি থাকার বিষয়টিও পাকাপোক্ত হয়।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ওই দিন ব্যাংকটি তৎকালীন চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীকে পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ওই দিনই ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ব্যাংকের এমডি এ কে এম শামীমকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ই ফারমার্স ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই ব্যাংকটি ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায়। আর্থিক সংকটের কারণে গ্রাহকরা তাদের আমানতও তুলতে পারছেন না মাসের পর মাস। শুধু তা-ই নয়, সরকারের জমা রাখা জলবায়ু তহবিলের টাকাও ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।