পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টিার : আজ সোমবার বাদে মঙ্গলবার খুলনা সিটির ভোট। নির্বাচন কমিশন বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি। খুলনা সিটি করপোরেশনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বাধা পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এর আগেও গত ১০ মে আমরা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলাম, খুলনা সিটি করপোরেশ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। তখন তিনি আমাদের এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, তিনি শুধু আমাদের আশ্বাসই দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন করেননি। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনারকে বলেছিলাম নির্বাচনের আগে যেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি না করা হয়। তিনি বলেছিলেন, যাদের নামে নামলা আছে শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিবসহ অনেক নেতা-কর্মীর নামেই রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। শুধু মামলা থাকলেই তো গ্রেফতার করা যায় না, গ্রেপ্তারি পরওয়ানাও থাকতে হয়। গতকাল শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত ৪২ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের মাত্রাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি বলেন, খুলনার মহিলা পুলিশ বিএনপির মহিলা এজেন্টের বাড়ি ও পুরুষ পুলিশ পুরুষ এজেন্টের বাড়িতে গিয়ে তাদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে এজেন্টরা ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। আমরা আজও এ বিষয়টা নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, তিনি আবারও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, সরকারি দল থেকে অভিযোগ করলে সেটা আমলে নেয়, কিন্তু বিরোধী দল থেকে অভিযোগ করলে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৈঠকে সিইসি কে এম নুরুল হুদাসহ চার নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। সেসব বৈঠকে নিজেদের অভিযোগ ও দাবিগুলো কমিশনকে জানায় তারা। সেসব দাবির উল্লেখযোগ্য ছিল, ভোটের আগে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারকে প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু ভোটের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন। যদিও বিএনপির প্রধান দুই দাবি নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।