পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সদ্যই উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ ব্যয় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্য একটা গৌরবের বিষয়। কিন্তু আমরা জানতে চাই, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় হয়েছে। কত অর্থের দুর্নীতি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের মানুষ জানার অধিকার রাখে। গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে ‘শফিউল বারী মুক্তি পরিষদ’ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্যাটেলাইট প্রকল্পে দুর্নীতির সন্দেহ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকারকে জানাতে হবে, দেশের মানুষকে জানাতে হবে যে, এই প্রকল্পে আমাদের কত টাকা খরচ হয়েছে, কিভাবে খরচ হয়েছে, কাদের মাধ্যমে খরচ হয়েছে? কাদেরকে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং কত টাকায় চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমরা জানতে চাই যে, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় হয়েছে, কত অর্থের দুর্নীতি হয়েছে, এটা দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে। প্রকল্পের অর্থ পরিপূর্ণভাবে খরচ করার জন্য যে মনিটরিং করা প্রয়োজন, যে তত্ত¡াবধায়ন করা প্রয়োজন সেটা করা হয়েছে কিনা এটা বাংলাদেশের মানুষের জানার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি।
আগামী মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে আন্দোলন হবে হুঁশিয়ার করে মওদুদ বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি কোনো রকমের অনিয়ম হয়, কেন্দ্র দখল করে, ভোট চুরি করে, ভোট ডাকাতি করে যদি নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। সেই নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করব এবং সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করব। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাদা পোশাকে এজেন্টদের পাঠানো হচ্ছে, সরকারি কিছু কিছু কর্মকর্তাদের ওই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্সে ভুয়া ব্যালট পেপার ঢোকানোর জন্য। ব্যালট বাক্স ভর্তি করবে ভুয়া ভোট দিয়ে, কারচুপি করবে। আমাদের এজেন্টদের বলছে যে, কেন্দ্রে আসতে দেবে না এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে গত তিন রাত যাবত তাদেরকে বাড়িতে থাকতে দেয়নি এবং দিচ্ছে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি দাবি করেন মওদুদ।
কোটা বিলুপ্তির গেজেট প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমরা কী দেখেছি? আন্দোলনের সময় এই প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এটার সমালোচনা করেছেন। এটার বিরোধীতা করেছেন। কিন্তু যেদিন দেখলো ১০ হাজারের চেয়েও বেশি ছাত্র-ছাত্রী রাস্তায় নেমে এলো, তখন পুলিশ কোথায় চলে গেলো। তখন পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি, এই র্যাবেরও দেখা পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলে, উনি তো রাজনীতি বোঝেন, সেদিন কারও সঙ্গে আলোচনা না করে সোজাসুজি পার্লামেন্টে গিয়ে এই কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি করার ঘোষণা দেন। তারা চেয়েছিল সংস্কার আর তিনি পুরোটাই বিলুপ্ত করে দিলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই আন্দোলন চলতে দেয়া যাবে না। এই আন্দোলন যদি চলতে দেয়া হয়, তাহলে সরকার টিকবে না।
বিএনপির আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে দলটির এই নীতি নির্ধারক বলেন, আমাদেরও সেই অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে। এমন এক সময় আসবে। আসতে বাধ্য। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। যখনই নির্বাচন কাছাকাছি আসবে তখনই দেশের মানুষের মনের পরিবর্তন হবে। তারা পরিবর্তন চাইবে। সেই পরিবর্তন চাওয়ার জন্য তারা রাস্তায় নামবে। স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মুক্তিকামী বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের মানুষকে নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তখন দেশের রাজনৈতিক চিত্রেরও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধিরাই জয়লাভ করবে। তার নেতৃত্ব দেবেন বেগম খালেদা জিয়া। আমরা মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচন করবো। আমরা মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে জয়লাভ করবো। কারণ দেশের মানুষ অপেক্ষায় আছে।’
৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর কোনদিন হবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন কোনো দিন হবে না। কারণ এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ জানানোর। এই প্রতিবাদ, মানববন্ধন সেমিনারে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এখন ভয়-ভীতি শঙ্কাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। হবে, আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে, আর মাস তিনেক ধৈর্য ধরতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে দেখবেন যে গাজীপুরে যে গণজোয়ার, এ গণজোয়ার সারা বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে আসবে। আওয়ামী লীগ সেই গণজোয়ারে ভেসে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।