পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে খরচ করেছে বাংলাদেশ বানিয়েছে ফ্রান্স, উড়িয়েছে আমেরিকা বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ভালো হয়েছে আমরা একটা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি।
সেটা খারাপ কেন? স্যাটেলাইট আমাদের দরকার। কিন্তু এই স্যাটেলাইট কীভাবে হল? আমি বানাইনি, আমি উৎক্ষেপণও করিনি। ফ্রান্স করেছে, আমেরিকা করেছে। ন্যানো টেকনোলজিতে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে পেরেছিলাম। আমাদের তরুণ যুবক কিছু তারা করেছিল কাজটা। এই যে যুবকরা যেটা করল, তাদের কোনো খরচ দিয়েছেন? কোনো উৎসাহ দিয়েছেন? গতকাল (রোববার) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় স্মরণ মঞ্চের উদ্যোগে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শেরে বাংলা: মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নির্মাণকারী তরুণদের কাজে না লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য ফ্রান্স ও আমেরিকার কাছে কেন যাওয়া হয়েছে সে প্রশ্ন তুলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি শুধু টাকা দিয়েছি। তাও কীভাবে? লোন করে। এই সমস্ত ব্যবসার মূল মালিক হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, তারা আজ হোক অথবা তিন বছর পরে হোক, পাঁচ বছর পরে হোক তারা নিজেরাই একটা স্যাটেলাইট বানাতে পারত। আপনি সেখানে গেলেন কেন? কারণ ওইখানেও যে মহালুট চলছে সেই মহালুটের আরেকটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মান্না বলেন, আমি নাম বলব না, এক টেলিভিশনের এমডি যিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে দাওয়াত পান। তিনি বলেছেন, ওই স্যাটেলাইটের সার্ভিস বাংলাদেশের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল নিতে পারবে না। তারপরে পত্রিকা লিখেছে, ওইটার গ্রাউন্ডের যে সার্ভিস সেই সার্ভিসের নিশ্চিয়তা এখন পর্যন্ত নেই অন্তত তিন বছর লাগবে।
এখন প্রতারণা, মিথ্যাচার ভÐামির যুগ চলছে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক বলেন, ইতিহাস বিকৃত করার এক মহোৎসব চলছে এখন। এর বিরুদ্ধে লড়াই যদি করতে হয় তাহলে যে রকম সাহস লাগবে, সেই রকম প্রজ্ঞা লাগবে। সেই রকম মিছিল করবার ক্ষমতা লাগবে, সেই রকম জ্ঞানের ভাÐারও সমৃদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিপথে গেছে মন্তব্য করে মান্না বলেন, রাজনীতিকে ঠিক পথে আনতে হবে। গণতন্ত্রের সংগ্রামে সকলকে এক হতে হবে। তিনি বলেন, আমি ও আমার দল এই গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শরিক থাকতে চাই। তবে এক সাথে তো পারা যাবে না, নিশ্চয় যুগপৎ করা যাবে, পাশাপাশি করা যাবে। যাতে এই স্বৈরতন্ত্রকে যাতে পরাজিত করতে পারি তার জন্য সবচাইতে সহজ কৌশল নিয়ে লড়াই করা যায় তার চেষ্টা করতে হবে। লড়াই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কতখানি করবেন, লড়াই পুলিশ লীগের বিরুদ্ধে করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে লুটপাটের রাজনীতি চলছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের কঠিন সংগ্রামে যেতে হবে। আওয়ামী লীগকে, স্বৈরতন্ত্রকে, দুর্নীতিবাজকে, নিপীড়ক-নির্যাতককে বিদায় করে আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে সেটা পরিষ্কার হওয়ার দরকার আছে। আমরা সেই বিশ্বাসটা লক্ষ্য রেখে বিএনপি ভিশন-২০৩০ জাতির কাছে উপস্থাপন করেছি। দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া সেই ভিশনে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র নির্মাণের অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আমরা সেভাবে কাজ করছি।
সংগঠনের সভাপতি আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, সাংবাদিক জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।