পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফয়সাল আমীন : চাল উৎপাদনে সু:খবর বইছে সিলেটে। এবার লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে বিভাগে। বাজার মূল্যে যার পরিমান প্রায় হাজার কোটি টাকা। বিশাল পরিমান পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসায় এই উৎপাদন সমৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরে আরও ৩১ হাজার হেক্টর কৃষি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হবে, বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। শনিবার বিভাগের হবিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ‘সিলেট অঞ্চলে আউশ আবাদ বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় বোরো চাষের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আউশ ধান চাষে কৃষকদের গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ। প্রবাসী অধূষ্যিত সিলেটে চারটি জেলায় হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে। অথচ এক সময় গোলায় ধান, গোয়ালায় গরু ছিল সিলেটের পরিবারগুলোতে। অর্থনীতির ভিত্তি ছিল কৃষি। সময়ের অশুভ প্রতিযোগিতায় কৃষি আর কৃষক যেন অবহেলিত একটি অংশ। কৃষিতে মন নেই সিংহভাগ পরিবারের। উৎপাদন মুখীতার বিপরীতে ক্রয়মুখীভাব এখানকার মানুষের। কৃষি পেশায় প্রতি রয়েছে উন্নাসিকতা। যেন জাত - বংশ যায় যায়। মুখ ফুটে বলতে মানা। চলমান এ ধারায়, আদি এ পেশা ও অর্থনীতির মৌলিক ভিত্তি চরম হুমকিতে। মাঠের পর মাঠ অনাবাদি। চাষের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে বিস্তৃণ মাঠে নগরায়নের ঢালপালা মেলছে। ইট ভাটা, বগুতল ভবন নির্মাণ তথা অলস খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে সোনালী ফসলের পিঠে। কৃষি বা কৃষি বিপ্লবের প্রতি নেই দায়বদ্ধতা। বরং কিভাবে পরিবর্তন করে নিশ্চিহ্ন করা যায় কৃষি মাঠ, এ প্রবনতাই মূখ্য। সিলেটের প্রতিটি পরিবারগুলোর কেউ না কেউ প্রবাসে বসবাস করে। তাদের উপার্জিত অর্থ কৃষি খাতে বিনিয়োগ হয় না, বা হ্ওয়ার কোন লক্ষণ নেই। বরং প্রবাসে পরিবারের কেউ চলে গেলে, সেই পরিবার কৃষি থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। মনে হয় সামাজিক ষ্ট্যাটাসে কৃষি সর্ম্পক তাদের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতিবন্ধকতা। অথচ কৃষিতে বেচে থাকা অনিবার্য এ সত্যেতে সকলের মতো তার্ওা। কিন্তু কৃষি নিয়ে ভাবনাতে বিরাজ করছে চরম উন্নাসিকতা। কৃষিবিদ ্ও এবি কৃষি ফার্মের স্বত্বাাধিকারী সেলিম আহমদ বলেন, বিপুল পরিমান অনাবাদি জমি, রয়েয়ে হাতে অর্থ, তারর্পও সিলেটিরা কৃষিখাতে বিনিয়োগে হীনম্মনতায়। ভাবতে চাই না, এখানে বিনিয়োগ করলে তারা যে লাভবান হবে। তা না করে নতুন নতুন অলাভজনক চটকধার খাতে বিনিয়োগের পেছনে ছুটে। তিনি বলেন, সামাজিক ্ও রাষ্ট্রিয়ভাবে কৃষিতে সংশ্লিষ্টদের স্ট্যাটাস সহ উন্নত পর্যায়ের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা সম্বলিত প্যাকেজ চালু করতে পারলে, সিলেটে স্বচ্ছল শ্রেনীর মানুষ কৃষির প্রতি মনোযোগি হতে সহায়ক হতো। যা তাদেও নিজের, তথা দেশ ্ও জাতির জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হত। তিনি বলেন, তরুন প্রজন্ম বিদেশমুখীতায় আচ্ছন্ন, কিন্তু তারা দেশে কিছু করতে চায় না। বিপুল সম্ভাবনা, সম্ভার কৃষিখাতে থাকার র্পও তারা এ খাতের চোখে রাখে না। অর্থনীতির স্বপ্ন ্ও বাস্তবতা দেখিয়ে তাদেও চোখে ফিরিয়ে আনতে হবে কৃষিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এই অবস্থা উত্তরণের লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে ১ হাজার কৃষককে আউশ আবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করবে কৃষি বিভাগ।
এদিকে হবিগঞ্জে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ স্থানীয় কৃষকদের সমাবেশে বলেন, কেউ খাল খনন ও নদী খনন প্রকল্প দাখিল করলে তাকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. মহসিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলতাবুর রহমান, সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-সচিব শাহনাজ বেগম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক তমাল লতা আদিত্য, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বশির আহমেদ সরকার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মজুমদার ইলিয়াছ ও বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন খন্দকার। কৃষকদের পক্ষ থেকে মো. মারুফ আহমেদ এবং উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সঞ্জয় কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপ-সহকারী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।