পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জেলা সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি উল্লেখ থাকবে।
রোববার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ড. এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বইটি প্রকাশ করে চারুলীপি প্রকাশনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি। তবে এটাকে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে জেলায় জেলায় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এটা উল্লেখ থাকবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজ চলছে। সেখানে আমারও কিছু ভূমিকা থাকবে। বিষয়টি আমি সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। যা থেকে জনগণ উপকৃত হচ্ছেন। আশা করছি, আগামী নির্বাচনেও তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনে রায় দেবেন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ২০২৩ সালের মধ্যে জেলায় জেলায় সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জেলায় জেলায় সরকার গঠন মানে এই নয় যে, কেন্দ্রীয় সরকার থাকবে না। কেন্দ্রীয় সরকারও থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবে। জেলা সরকার গঠন হলে এলাকার চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সুবিধা হবে। আর জনসেবার মান বাড়বে। প্রতিটি মানুষ যেন জেলায় সব ধরনের সেবা পায় সেজন্যই এটি করা হবে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই দেশে আর দারিদ্র্য থাকবে না। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীরা যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ সরকারের ওপর নির্ভশীল থাকবে। সরকার তাদের টেককেয়ার করবে।
অর্থমন্ত্রী তার ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’বই প্রসঙ্গে বলেন, বইটি বাংলাদেশ অভ্যুদ্যয়ের ওপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে। এতে স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থার বিশদ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বইটি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচ্য হবে বলে আমি আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।