পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : কালবৈশাখীর মওশুম শেষ হয়ে আসলেও দক্ষিণাঞ্চলে ঝঞ্ঝা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দুপুরের পরে আকাশ কালো করা মেঘের সাথে বৃষ্টি সহ বজ্র বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। তবে এবার এখনো দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমান কম। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী। এবার দক্ষিণাঞ্চলে কালবৈশাখীর ক্ষয়ক্ষতি ও বজ্রপাতে প্রানহানী গত বছরের তুলনায় যথেষ্ঠ কম। এখনো দূর্যোগে ফসলহানী গতবছরের পর্যায়ে না গেলেও তাপমাত্রার আধিক্য জনজীবনে যথেষ্ঠ দূর্ভোগ নিয়ে এসেছে।
এবছর ফাল্গুনে তাপমাত্রার পারদ গ্রীষ্মের আগাম জানান দেয়ায় বসন্তের খুব একটা দেখা মেলেনি। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলে গতমাসে সারা দেশের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমান কম ছিল। এপ্রিল মাসে সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ৩৬.৭% বেশী বৃষ্টি হলেও বরিশালে তা ছিল স্বাভাবিকের ৬.১% কম। এপ্রিলে বরিশাল অঞ্চলে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে স্বাভাবিক হিসেবে গননা করে আবহাওয়া বিভাগ। কিন্তু এবছর এপ্রিলে বরিশালে ১২৩মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অথচ গতবছর এপ্রিলে বরিশালে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৬০%-এবং মার্চে ১৫২%-এর মত বেশী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া বিভাগ। অপরদিকে এবছর মার্চে বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৯০ভাগ কম। ফেব্র“য়ারীতে তা ছিল প্রায় ১শ ভাগ কম। অথচ গতবছর মার্চ ও এপ্রিলের অতি বর্ষনে দক্ষিনাঞ্চলে তরমুজ ও গোল আলু সহ প্রচুর পরিমান রবি ফসল ছাড়াও এ অঞ্চলের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্য ফসল বোরো ধানেরও ব্যপক ক্ষতি হয়।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মওশুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী বজ্র বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথাও জানিয়ে রেখেছে আবহাওয়া বিভাগ। সে সাথে দেশের কোন কোন এলাকায় মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টিপাতের কথাও বলা হয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ২৬০ মিলিমিটারের স্থলে ১৫০Ñ৩১০মিলি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হলেও মাসের প্রথম ১১দিনে বৃষ্টি হয়েছে ৪৮দশমিক ৫মিলিমিটার। যারমধ্যে গতকাল(শণিবার) সকালের পূর্ববর্তি ২৪ঘন্টায় ২৬মিলি বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। এসময় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার নিকটদুরে কলাপাড়ায় ৩৯মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
তবে এবার শীতের শেষ থেকেই দক্ষিনাঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরেই থাকছে। ফলে বসন্তের খুব একটা ছোয়া পায়নি এ অঞ্চলের মানুষ। ইতোমধ্যে তাপমাত্রার পারদ ৩৫ডিগ্রী অতিক্রম করে ৩৬ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছেও পৌছেছে বরিশালে। এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ডিগ্রীর ওপরে উঠে গিয়েছে। তবে গত শুক্রবার সন্ধা থেকে প্রায় মধ্যরাত অবধী ২৬মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা যথেষ্ঠ সহনীয় পর্যায়ে ছিল গতকাল। শণিবার সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০.২ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত ৯মে সকালে ছিল প্রায় ৮ডিগ্রী বেশী, ২৮.১ডিগ্রী সেলসিয়স। গতকাল বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় ২ডিগ্রী সেলসিয়াস কম ছিল। আবহাওয়া বিভাগের মতে, চলতি মে মাসে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৪.৭ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকার কথা।
গতকালও আগের দিনর মতই দুপুরের পর থেকে আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করে। দিনের শেষভাগে বজ্র গর্জনের সাথে বৃষ্টিপাতও শুরু হয়। ফলে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিদুৎ সরবারহ ও বিতরন ব্যবস্থায় বিঘœ ঘটে। ১২-৫-২০১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।