পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। গতকাল শনিবার বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বর্তমান কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতা শেখ হাসিনা আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন এমন কথাও জানান তিনি। সংগঠনের শীর্ষ পদে কারা আসতে পারে তা দেখার অপেক্ষয় গণভবনের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই।
জানাগেছে, দ্বিতীয় অধিবেশনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন নেতৃত্ব বাছাই করে একটি তালিকা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও। গতকাল শনিবার দুপুরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের বিরতির পর ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্ব গণভবনে গিয়ে একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্য দুই রাত ঘুমাতে না পারার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তালিকা রেখে যেতে বলেছেন। সেই তালিকা যাচাই বাছাই করে আজকালের মধ্যে নেতাদের নাম ঘোষণা করবেন বলে তাদের জানিয়েছেন বলে ছাত্রলীগ সূত্রের দাবি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের তিন যুগ্ম সম্পাদক, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা (সাবেক ছাত্রলীগ) এই সময় উপস্থিত ছিলেন। গণভবন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ফিরে এসে দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রার্থীদের তালিকা আমরা আমাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই দেবেন। এই ঘোষণা দিয়ে তিনি সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন উপস্থিত নেতাকর্মীদের জানান, কমিটি জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে কিছু নাম নেত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই মাননীয় নেত্রী নতুন নেতৃত্বের বিষয় আমাদের জানিয়ে দেবেন। হয়তো দু-একদিন সময়ও লাগতে পারে কমিটি ঘোষণা আসতে। আমরা তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো। হয়তো বা দুই একদিন দেরী হতে পারে।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের নেতারা ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করে সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের মতামত নেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীদের নামও জানাতে চান তিনি। সবার নামের তালিকা তার কাছে আছে জানিয়ে তিনি যাচাই বছাই করে নাম ঘোষণা করবেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে শনিবারের দ্বিতীয় অধিবেশনে অংশ নিয়ে আলাপ আলোচনা করে তালিকা করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রথম সেশনে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত তিনবার সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচন করা হলেও সেটা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এ কারণে এবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতা হওয়ায় এবার তিনিই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। এবার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী ৩২৩ জন নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ১১১ জন সভাপতি ও ২১২ জন সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।