পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে মুসলিমদেরকে প্রকাশ্যে নামায পড়তে বাধা দেয়া এবং সেই ঘটনায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাত্তারের সমর্থনে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট পেশাজীবি। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে দেয়া এক স্মারকলিপিতে নামাজে বাধা প্রদানকারী অপরাধীদের বিচার দাবির পাশাপাশি ওই ঘটনায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর ভ‚মিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তি দাবী করা হয়। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন, কাজী মুহম্মদ মুহিবুর রব, মুহম্মদ মফিজুল ইসলাম, মুহম্মদ আব্দুল লতীফ আকন্দ, এডভোকেট মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, আল্লামা মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন, আল্লামা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালিম, আবুল বাশার মুহম্মদ আজিম, মুহম্মদ শফিকুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ শওকত হুসাইন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্মারকলিপিটি ভারতীয় দূতাবাসে প্রদান করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ। নামাজে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে স্মারকলিপিতে বলা হয়, টাইমস অফ ইন্ডিয়াসহ আরও কিছু মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার গুরুগ্রামে কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মুসলমানগণদের জুমুয়ার নামাজে বাধা প্রদান করেছে। নামাজে বাধা প্রদানকারীরা জুমুয়ার জামাতের পাশে “জয় শ্রীরাম”, বাংলাদেশে ফেরত যাও” বলে শ্লোগান দেয়। হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাত্তার গত রবিবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেছে, মুসলিমদের প্রকাশ্য স্থানে নামাজ পড়াটা বেড়ে গেছে।”
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, মুসলমানবিরোধী সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতা সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি জোট শাসিত রাজ্যগুলোতে, ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মুসলমানদের মৌলিক নাগরিক অধিকারগুলো নিয়মিতই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্বারা লংঘিত হচ্ছে সেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দলের মদতপুষ্ট। স্মারকলিপিতে এসব ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারত সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলা হয়, এসব ঘটনা মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।