পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধমে ‘আজ থেকে আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১১ মে) দিনগত রাত (বাংলাদেশ সময়) ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ দেশটির ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যবহার হয় একটি ফ্যালকন-৯ ব্লক ফাইভ রকেট। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাস্থ উৎক্ষেপণ স্টেশন থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরের নিজস্ব কক্ষপথে ছুটে গেলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।
উৎক্ষেপণের সময় ‘স্পেসএক্স’ এর ওয়বেসাইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারণ করা এ বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম দেখছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য একটি অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের দিন। বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় আজকে যোগ হচ্ছে আরও একটি মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে আজ আমরা মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করছি।’
‘আজকের এই গৌরবময় মুহূর্তে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং জেল ঝুলুম নির্যাতন অগ্রাহ্য করে আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ আমি স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং নির্যাতিত মা বোনকে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি অনুধাবণ করেছেন বর্হিবিশ্বের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করেন। যার সাহায্যে তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে সুযোগ তৈরি হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি নিজস্ব উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে। তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে আজ যুক্ত হতে যাচ্ছে স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ। আজ থেকে আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম। প্রবেশ করলাম এক নতুন যুগে।’
স্যাটেলাইটের সেবা প্রদানের বিস্তৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই স্যাটেলাইট দিয়ে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখাস্তান এবং উজেবকিস্তানের অংশ বিশেষে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রকল্প গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি, প্রকল্প এবং স্যাটেলাইট কোম্পানির কর্মীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি নির্মাতা ও উৎক্ষেপণকারী উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাই ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণকে একাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই রাশিয়াকে তাদের কক্ষপথ আমাদের ভাড়া দেওয়ার জন্য। প্রিয় দেশবাসী আপনারা সকলে দোয়া করবেন যাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণ করতে পারি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ শুভ উৎক্ষেপণ ঘোষণা করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।