পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু হেনা মুক্তি : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, কেসিসি নির্বাচনে পুলিশের গণ গ্রেফতার ও হয়রানির মাধ্যমে সরকারের দানবীয় চেহারা ফুটে উঠেছে। প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একই সুরে কথা বলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরিবারের লোক নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ডেকে নিয়ে প্রভাবিত করছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’ গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় নগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন মেয়র প্রার্থী। আমার কাজ হচ্ছে ভোট প্রার্থনা করা। এই মুহূর্তে আমার ভোটারদের কাছে থাকার কথা ছিল। তা না করে আমাকে আবারো সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করতে হয়েছে। কারণ, এই নির্বাচনে সরকারের দানবীয় চেহারা আবারো ফুটে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ আবারো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পারচালনা করছে। গভীর রাত পর্যন্ত আমাকে মহানগরীর থানায় থানায় ঘুরতে হয়েছে। একদিকে ডিবি নামক আতঙ্ক, অন্যদিকে থানা পুলিশের তলব।’
মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের মিছিল বড় হচ্ছে, জমায়েত বড় হচ্ছে। এটা সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ। এত নির্যাতন সত্তে¡ও কীভাবে বিএনপির কাছে মানুষ যাচ্ছে, কীভাবে তারা রাস্তায় নামছে, এই ভেবেই আওয়ামী লীগ আবারো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল শেষ করার সাথে সাথে তিনজন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যেখানেই নির্বাচনী গণসংযোগ করি সেখানেই পুলিশ হাজির হয়ে যায়। নাম নোট করে ছবি তোলে নেতা-কর্মীদের। আমি নগরীর যে প্রান্তেই যাই গোয়েন্দারা অনুসরণ করে।’
আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মাদক ও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ নেই। অথচ আরো ১৭ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পাঁচ শতাধিক বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব করেও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। ১৫ তারিখের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন পরাজিত হবে এবং বিএনপি ও খুলনার জণগণের বিজয় হবে।’
তিনি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি খুলনায় ভোট পর্যবেক্ষণ করতে আসার আহŸান জানান। জাতীয় ভোটের অ্যাসিড টেস্ট এই ভোট- এ কথা উল্লেখ করে তিনি ঢাকা থেকে জাতীয় সকল পর্যবেক্ষক ও সুধী সমাজকে এই ভোট পর্যবেক্ষণে আসার জন্য আহŸান জানান।
মঞ্জু অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকছে। সরকারের কথায় চলছে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণকে অসত্য হিসেবে বর্ণনা করছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাইলফলক। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সরকারের ওপর যে চাপ আছে-এই নির্বাচন তা আরও বাড়াবে।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, ‘এই সময়ে আমার কাজ ভোটারদের কাছে যাওয়া, ভোট প্রার্থনা করা। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত আমার কর্মীদের দেখতে থানায় থানায় যেতে হচ্ছে। এই সিটি নির্বাচনে সরকারের দানবীয় চেহারা ভেসে উঠছে।’ খুলনাবাসী সরকারের আক্রমণে আতঙ্কগ্রস্ত অভিযোগ করে মঞ্জু বলেন, কর্মীরা বাড়িছাড়া। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বক্তব্যে একই সুর। এই ধরনের অভিযান বন্ধের আহŸান জানাচ্ছি। মঞ্জু অভিযোগ করেন, কোনো ওয়ার্ডে তিনি প্রচার শেষ করে চলে যাওয়ার পরপরই পুলিশ হাজির হয়। গোয়েন্দারা তাকে অনুসরণ করে। তার কর্মীদের ছবি ও নাম রেকর্ড করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিজেপির মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জামায়াতের মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলম, বিজেপির নগর সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, শফিকুল আলম তুহিন, এহতেশামুল হক শাওন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবুসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ লেলিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চায় আ.লীগ: গনসংযোগকালে মঞ্জু
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে পুলিশ লেলিয়ে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নিতে চায় বলে অভিযোগ বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে গণগ্রেফতার ও তল্লাশির নামে তাÐব চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্ত কোনও ধরনের হুমকি ও ভীতির কাছে বিএনপির কর্মীরা নতিস্বীকার করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল বুঝে তবেই ঘরে ফিরবে তারা।’
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে মঞ্জু এই অভিযোগ করেন। বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া উপ কমিটির সদস্যসচিব এহতেশামুল হক শাওন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও ব্যাংক বীমা লুটের হাজার কোটি টাকায় তারা নগরে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছে। কিন্ত, নৌকার পালে বাতাস লাগাতে ব্যর্থ হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে। বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট, ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বশীল নেতাদের গ্রেফতার করেও আমাদের বিজয় ঠেকানো যাবে না।’ তিনি ১৫ মে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহŸান জানান।
সকালে তিনি সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা হরিজন পল্লী থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, বানরগাতি বাজার, ইসলাম কমিশনারের মোড়, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ও সর্বাত্মক গণসংযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।