Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রতি ওয়ার্ডে চিকিৎসাকেন্দ্র করতে চান মুহিত

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে রোগ পরীক্ষাগার ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটা নিয়ে সরকার কাজ করবে বলেও জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে এনজিওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাজেট পূর্ব আলোচনায় এক প্রস্তাবের পর এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহর চৌধুরী অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এগুলো হলোÑ ঢাকার ১০০টি ওয়ার্ডে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা, বিসিএস, পুলিশ, সেনাসহ সব সরকারিতে ধূমপায়ীদের প্রবেশ বন্ধ করা, মফস্বলে চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা, ইন্টার্ন চিকিৎসকদেরকে মফস্বলমুখী করতে পদক্ষেপ নেয়া, শিক্ষক, চিকিৎসক, পাবলিক প্রসিবিউটরসহ যেসব পেশাজীবী সরকারি বেতন ভোগ করে, তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ না রাখা।
পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেওয়া প্রস্তাবটা ভালো। ঢাকার ১০০ টি ওয়ার্ডে রোগ চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। কারণ মানুষ যেনতেন রোগ হলেই এক্সপার্টদের কাছে যান। এটার দরকার পড়ে না। ৭০ শতাংশ রোগ এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে সেরে ওঠা সম্ভব। এর জন্য এক্সপার্টদের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী অর্থমন্ত্রীকে বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করলে এটা এসডিজি ফোর এর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এটা হলে পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী প্রাথমিক পরীক্ষা বন্ধ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
শিক্ষা নিয়ে আলোচনা আরও এগিয়ে গেলে অর্থামন্ত্রী স্কুলে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার চিন্তা তুলে ধরেন। মুহিত বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি শিক্ষার্থী প্রতি বছর ঝরে যাচ্ছে। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। কারণ স্কুলগুলোতে পর্যাপ্ত সেনিটেশন ব্যবস্থা নেই।
ফলে দেশের স্কুলগুলোর কনস্ট্রাকশনের উন্নয়নের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। বিষয়টিকে আমরা এ বছরের বাজেটে গুরুত্ব সহকারে দেখব। যাতে করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্যানিটারি কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, কম বয়সে যেসব মেয়েরা বিয়ে হওয়ার পর স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে চিকিৎসা নিতে যায়, সেখানে একজন পরামর্শক নিয়োগের কথাও আমরা চিন্তা করব। যাতে চিকিৎসা নিতে আসা কম বয়সী মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে উৎসাহিত হয়।
কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার বাজেট বরাদ্দের বিষয়েও কথা বলেন মুহিত। বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রেও গবেষণা কার্যক্রম উন্নয়নে এ বছর বাজেট রাখা যেতে পারে। এতে করে শিক্ষা উন্নয়ন সাধন হবে। এ বছর শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণা বাড়াতে বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে এনজিওদের ‘মোস্ট অ্যাকটিভ’ উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমরা দেখি যে আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকান্ডে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। কিন্তু এখনও দুই কোটি মানুষ দরিদ্র আছে এই দেশে, এটা অনেক বড় সংখ্যা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ