পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই আইন মানছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতবুধবার সরকারি দলের প্রতিনিধি এবং গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেনে। এ বৈঠকে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকতারা সরকারি দলে হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, খুলনায় রিটার্নিং অফিসার যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারেন, সেজন্য ‘সহায়তাকারী’ নামে আরেক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, রিটার্নিং অফিসারকে এভাবে তদারকি করার বিধান নির্বাচন কমিশনের আইনে নেই। তারা নিজেরাই আইন লঙ্ঘন করেছে। নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আমাদের সামনে নানা বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেগুলোর বিষয়ে সিইসিকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি খুলনায় সন্ত্রাস ও মাদকের অভিযোগ দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে যারা আমাদের এজেন্ট হবেন, তাদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এসব করছে, তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। তা এখনো করেনি ইসি। বিএনপির নেতা বলেন, বিগত কয়েকদিনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে। নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ তিন কর্মকর্তা সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। খুলনায় একটি ভালো নির্বাচন হতে পারতো জানিয়ে বলেন, আমরা ভোটে আছি, থাকব। কমিশনের আগ্রহ রয়েছে ভালো নির্বাচনের। কিন্তু, তাদের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট শ্রশ্ন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। গত বুধবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার এখনও পক্ষপাতিত্ব করছেন অভিযোগসহ তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে নিবার্চন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তাই তার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ইসির একজন যুগ্ম-সচিবকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোট কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর ৩টি কেন্দ্রে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তাই তার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ইসির একজন যুগ্ম-সচিবকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, আপনারা তার কোনো প্রমাণ পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, না। আমরা তার কোনো প্রমাণ পাইনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য আরেকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হলে তার দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হবে কি না বা কমিশন এটা পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশন চাইলে যে কোনো সময় এটা পারে। প্রয়োজনে সেখানে আমি যেতে পারি বা চাইলে কোনো নির্বাচন কমিশনারও যেতে পারেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন- ওখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হচ্ছে না। দলীয় সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নিতে না পারায় তাদের প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করছে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। তাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুটি ভোট কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর ৩টি কেন্দ্রে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। খুলনার সোনা পোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইর জসিমউদদীন হোস্টেল কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। অপরদিকে দৌলতপুর সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সেন্ট্রাল রোডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পিটিআই মোড়ের প্রশিক্ষণ ভবনের ২য় ও ৩য় তলায় নির্বাচনের দিন সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ কেন্দ্রগুলো সরাসরি মনিটরিং করা হবে। আগামী ৫ মে খুলনা সিটিতে ভোট হবে। এ সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৫৬১টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।