পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) শেষ ১০ বছরের কর্মকাÐ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে আমার সময় শুরু হওয়া উন্নয়ন মনিরুজ্জামান মনির সময় এসে স্থবির হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে আমি কেসিসি’র মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নগরীর উন্নয়নে গতি আসে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে মনির দায়িত্ব নেওয়া পর তা থমকে যায়। ঝিমিয়ে পড়ে সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। আমার রেখে যাওয়া কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনও প্রকল্প অনুমোদন বা বাস্তবায়নে সক্ষম হননি মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির। সরকারি দলের মেয়র না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে নগরবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গনসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত দশ বছরে কেসিসির বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মকাÐের ব্যয় হিসেব করে দেখা যায়, আমি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলাম। আমার সময় ৯৭৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। যা আমার মেয়াদকালে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কিছু কাজ চলমান ছিল। ওই সব প্রকল্পের কিছু বর্তমান মেয়র মনি শেষ করেছেন। বাকীটা এখনও চলমান। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত মেয়র মনি মাত্র ১১৩ কোটি টাকার কাজ অনুমোদন করেছেন। যার একটি শেষ করেছেন, বাকী তিনটি চলমান।’
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমার সময় (২০০৮-২০১৩) এডিপি থেকে বরাদ্দ আসে ৮০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মেয়র মনিরুজ্জামান মনির সময় (২০১৩-২০১৮ সালের মার্চ মাস) মাত্র ৫৩ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ হয়েছে। যা আগের তুলনায় ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা কম। আমি মেয়র থাকাকালীন (২০০৮-২০১৩) ৪৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার সরকারি ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন করাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু মেয়র মনি তার সময় (২০১৩-২০১৮ মার্চ পর্যন্ত) একটিও সরকারি প্রকল্প অনুমোদন করাতে পারেননি। বিদেশি ব্যাংক ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে আমি (২০০৮-২০১৩) ৪৬৫ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়ার পর বাস্তবায়ন শুরু করেছিলাম। কিন্তু মেয়র মনি তার সময় (২০১৩-২০১৮ মার্চ পর্যন্ত) মাত্র ৫০ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্পের অনুদান আনতে সক্ষম হয়েছে। যার তিনটি চলমান।’
তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন, আমার সময় সরকারি অর্থায়নে ১২টি প্রকল্পের মধ্যে শহরের ভৌত অবকাঠামো, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ কাজে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ঘূর্ণিঝড়-সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সুবিধাদি, অবকাঠামোগত মেরামত ও পূণর্বাসনের জন্য ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন ও মেরামত বাবদ ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ৭০ কিলোমিটার ড্রেনেজ মাস্টার প্লান প্রস্তুতের জন্য ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। শলুয়া বাজার ও ডুমুরিয়ায় স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড নির্মাণের জন্য ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। নগর ভবন, জোনাল অফিস স¤প্রসারণ, ওয়ার্ড অফিস ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ বাবদ ১২ কোটি ১ লাখ টাকা। শহরের সড়ক বাতি (এলইডি বাল্ব) প্রতিস্থাপনের জন্য ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। রাস্তা, ফুটপাত স¤প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য ৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই ৮টি প্রকল্পই আমি দায়িত্ব পালনকালে বাস্তবায়ন করেছি। বাকী ৪টি প্রকল্প চলমান ছিল। সেগুলো হচ্ছে লিনিয়ার পার্ক নির্মাণ ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, শহীদ হাদিস পার্ক ও তৎসলগ্ন পুকুর সংস্কার ও উন্নয়ন ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট যানবাহন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং এ্যাসফল্ট প্লান্ট বাবদ ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। শহরের রাস্তা ও অবকাঠামো সুবিধা উন্নয়ন বাবদ প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেয়র মনি সরকারি বরাদ্দের কোনও প্রকল্পই অনুমোদন করাতে সক্ষম হননি।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ব্যাংক ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে ৪৬৫ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্পের মধ্যে সিআরডিবি’র উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্ধ ছিল ২৫০ কোটি টাকা। যার মধ্যে খাল খনন, ড্রেন নির্মাণ, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ছোট রাস্তা নির্মাণ, সড়ক ও ফুটপাত উন্নয়ন। এই প্রকল্পগুলো আমার সময় শুরু হলেও তা এখনও চলমান। মাথা ভাঙ্গা ল্যান্ডফিল ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ বাবদ ১৫০ কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভলপমেন্ট ফান্ডের ১৫ কোটি টাকা ও বস্তি উন্নয়ন প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার কাজও আমিই শুরু করেছিলেন যা মনিরুজ্জামান মনি শেষ করেছেন। ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মনিরুজ্জামান মনি বিদেশি ব্যাংক ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে মাত্র ৫০ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন করিয়েছেন যার তিনটি এখন চলমান। প্রকল্পগুলো হচ্ছে ভারত সরকারের অনুদানে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে খালিশপুর কলেজিয়েট গালর্স স্কুল নির্মাণ, নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের অনুদানে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নির্মাণ। জার্মান সরকারের অনুদানে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি বস্তিতে টয়লেট, ড্রেন, রাস্তা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, নগর ভবনে সেমিনার কক্ষ ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।