পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকায় ভাষা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া
ইনকিলাব ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদির সরকার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ১৯৫৫ সংস্কার করে হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করার যে ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আসামের ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকায় ভাষা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যক্তি ও সংস্থা এই সংশোধনীর বিরোধিতা করছে। তারা পার্লামেন্টের বিভিন্ন কমিটির কাছে তাদের আপত্তি জানিয়ে দিচ্ছে। যেসব ব্যক্তি ও দল সংশোধনীর বিরোধিতা করছে তাদের অন্যতম হচ্ছে অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ছয় বছরের ছাত্র আন্দোলনের সময় দলটি সৃষ্টি হয়। তারা বলেছে, কেন্দ্র সরকার যদি বিলটি পাস করার উদ্যোগ নেয়, তবে তারা রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে বের হয়ে যাবে। কংগ্রেসও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈই সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজ্য আর কোনো অভিবাসীর বোঝা বহন করবে না। বিলটির বিরোধিতা করে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএসইউ) নেতারাও বলেছে, বিলটি পাস হলে তারা বিক্ষোভের আয়োজন করবে। বিলটি পাস হলে আসামীয়রা তাদের নিজেদের ভূখÐেই সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। আদিবাসী ফোরাম আসাম (কয়েকটি সংগঠন নিয়ে এটি গঠিত) এই বিলের বিরোধিতা করে বলেলে, তারা একে অসাংবিধানিক মনে করে। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈই গৌহাটিতে সাংবাদিকদের বলেন, আসামীয়রা কি তাদের নিজ রাজ্যে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে? আসামের সরকারি ভাষা কি বাংলা হয়ে যাবে? এ নিয়ে আসামে ব্যাপক ভীতি কাজ করছে। তবে বিজেপি ও আরএসএসসহ কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এই বিলের বিরোধিতা না করার জন্য নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। অখিল গগৈই গৌহাটিতে সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক গভর্নর এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৭১ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত ৭৫ লাখ হিন্দু আসামে প্রবেশ করেছে। এই বিলটি পাস হলে তারা সবাই আসামের নাগরিক হয়ে যাবে। তাদের ধর্ম যাই হোক না কেন, তারা তো সবাই বিদেশী। তারা আসামে এসেছে ১৯৭১ সালের পর তাদেরকে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী সর্বনান্দ সনোওয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। ইতোপূর্বে শর্মা বলেছিলেন, আসাম যাতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য হিন্দুদের আসামে বসতি স্থাপন করানো উচিত। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।