পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল ইসলাম : বেসরকারী হজ এজেন্সি আকবর হজ গ্রæপের প্রতারণার শিকার সহ¯্রাধিক হজযাত্রী এখনো অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। আকবর হজ গ্রæপের চেয়ারম্যান ও গাজীপুর এয়ার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী পলাতক মুফতী লুৎফর রহমান ফারুকীকে বাঁচাতে তার দালাল চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। আকবর হজ গ্রæপের ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গ্রæপ লিডার এতথ্য জানিয়েছেন। প্রতারণার শিকার এসব হজযাত্রীদের সৃষ্ট সংকট নিরসনের সরকারের ও হাবের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠছে। এতে হজযাত্রীগণ চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতারক লুৎফর রহমান ফারুকী ৯০ জন গ্রæপ লিডারের তিন সহ¯্রাধিক হজযাত্রীর প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে গত মাসে সউদী আরবে পালিয়ে গেছে। পলাতক ফারুকীর স্ত্রী তামান্না রহমানও প্রচুর পরিমান স্বর্ণালংকারসহ সউদী আরবে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে চট্রগ্রাম বিমান বন্দরে গ্রেফতার হয়। বর্তমানে পলাতক ফারুকীর আলোচিত স্ত্রী তামান্না রহমানকে দু’দিনের রিমান্ডের পর কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করেছে সিআইডি পুলিশ। সিআইডি পুলিশ পলাতক ফারুকীর স্বাক্ষরিত চেক বইসহ (ব্যাংকের) চ্যাঞ্চল্যকর তথ্যাদি উদ্ধার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রæপ লিডারদের গঠিত কমিটি’র সভাপতি ও পল্টন থানার মামলার বাদী আব্দুর রকিবকে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক ও কমিটি’র মহাসচিব রওশন আলম কনককে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার অপর একটি চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখিত দু’টি চেকেই পলাতক লুৎফর রহমান ফারুকীর স্বাক্ষর রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রæপ লিডারদের মাঝে ফাটল এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই এসব চেক হস্তান্তর করা হয়েছে কিনা তা’ খতিয়ে দেখার দাবী উঠছে গ্রæপ লিডারদের পক্ষ থেকে। আগামী শনিবার বিজয়নগরস্থ আকবর হজ গ্রæপের অফিসে লুৎফর রহমান ফারুকীর পুরোনো গ্রæপ লিডার ও টঙ্গী এয়ার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মুফতী ইয়াকুবকে প্রধান করে নতুন তৃতীয় পর্যায়ে আরো একটি কথিত দালাল কমিটি গঠনের জন্য গ্রæপ লিডারদের ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২ এপ্রিল পল্টন মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামী আকবর হজ গ্রæপ বাংলাদেশ-এর স্বত্বাধিকারী ফারুকীর ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ক্ষতিগ্রস্ত গ্রæপ লিডারদের মোবাইল ফোনে আগামী শনিবারের কথিত পকেট কমিটি গঠনের মিটিংয়ে হাজির হবার জন্য গ্রæপ লিডারদের নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলাতক লুৎফর রহমান ফারুকীর পালিত দালাল চক্র ইতিমধ্যে ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে বলে প্রতারণার শিকার উল্লেখিত হজযাত্রীদের হজে পাঠাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিদের্শে দায়িত্ব পেয়েছে বলে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। হজযাত্রী বা গ্রæপ লিডার না হয়েও যশোরের ইউনুস নামে এক দালাল পলাতক লুৎফর রহমান ফারুকীর পক্ষে কলকাটি নড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রæপ লিডার এতথ্য জানিয়েছে। আকবর হজ গ্রæপের প্রতারণার শিকার হজযাত্রীরা যাতে তাদের পছন্দের যে কোনো হজ এজেন্সিতে ট্রান্সফার হয়ে হজে যেতে পারে তার জন্য ধর্ম মন্ত্রী ও ধর্ম সচিবের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রæপ লিডাররা। হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী ইনকিলাবকে বলেন, আকবর হজ গ্রæপের প্রতারণার শিকার হজযাত্রীরা যাতে নিশ্চিন্তে হজে যেতে পারে তার জন্য হাব কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই আকবর হজ গ্রæপের অফিস খুলে দেয়া হয়েছে।
আকবর হজ গ্রæপের পুরোনো গ্রæপ লিডার ও টঙ্গী এয়ার ট্রাভেলসের (১৫২৮) স্বত্বাধিকারী মুফতী ইয়াকুব রাতে ইনকিলাবকে বলেন, আমিও আকবর হজ গ্রæপের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রæপ লিডার আমার ৫১জন হজযাত্রী রয়েছে। পলাতক লুৎফর রহমান ফারুকী’র কাছে তিনি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা পাবেন বলে জানান। পলাতক ফারুকীকে বাঁচানোর জন্য আগামী শনিবার ফারুকীর অফিসে মিটিং ডাকা হয়নি। ফারুকীর লোকেরা হজযাত্রীদের কাছে জনপ্রতি আরো অতিরিক্ত এক লাখ টাকা করে চাইছে কিনা তা’ জানা নেই বলেও মুফতী ইয়াকুব উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পলাতক লুৎফর রহমান ফারুকী’র দালালি করছি না ; বরং দালালি করলে আমি ধরা খাবো। যশোরের ইউনুস ফারুকীর কাছে ৬ জন হজযাত্রী দিয়েছে। সে তার দালালি করছে কিনা জানা নেই। তিনি বলেন, মামলার বাদী আব্দুর রকিব লুৎফর রহমান ফারুকীর গত বছর মুনাজ্জেম ছিল। তারা ফারুকীর চেক নিয়েছে। রাতে হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী বলেন, আকবর হজ গ্রæপের প্রতারণার শিকার হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ হজে যেতে পারে সে লক্ষ্যে হাবের উদ্যোগেই সিআইডিকে বলে পলাতাক লুৎফর রহমান ফারুকীর অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত সর্বনিন্ম হজ প্যাকেজের পুরো টাকা জমা দিয়েই আকবর হজ গ্রæপের মাধ্যমে হজে যেতে হবে বলেও মাওলানা শরাফতী উল্লেখ করেন। যেসব হজযাত্রীর হজের টাকা আকবর হজ গ্রæপের কাছে জমা দিয়েছে অথচ তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন না করেই ফারুকী সউদীতে পালিয়েছেন সেসব হজযাত্রীর কি হবে এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব হাবের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।