পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলাম ও দেশরক্ষা কমিটির আহবায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরিবেশ ও উন্নয়নের নামে ঢাকা শহরে মন্দির, গির্জা, অবৈধ দখল উচ্ছেদ না করে মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে তারা বলেন কামাল স্মরণীর সড়কের জন্য ইতোমধ্যেই ভাঙা হয়েছে ৫টি মসজিদ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ভাঙা হবে ২১টি মসজিদ। কিন্তু ভাঙা হবে না মন্দির গির্জা মন্ডপ। পরিবেশ রক্ষার নামে বিআইডবিøউটিএর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা বহু সংখ্যক আড়ৎ, বাজার, মার্কেট এবং ব্যাবসায়িক আস্তানা ভাঙার তালিকা না করে নদীর তীরে ২৪টি মসজিদ এবং তিনিটি মাদরাসার তালিকার ২০ নম্বর মসজিদ, মসজিদে বাইতুন নাজাত আংশিক ভাঙার পর গণবাধায় মসজিদ ভাঙার কাজ স্থগিত রয়েছে। হাতিরঝিলের মসজিদটি ভাঙা হলেও মন্দির রক্ষায় রাস্তার গতি পরিবর্তন করা হয়েছে। গির্জার থাকার কারণে ২ নং মিরপুরে ৬০ ফুট সড়কের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে, কামাল লোহানি, সৈয়দ আবুল মকসুদ, রানা দাশগুপ্ত, শামসুল হুদা এবং এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও খুশি কবিরসহ ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী বলেছিলেন- ‘রাস্তা তৈরীর ক্ষেত্রে হিন্দুদের মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।’
নেতৃদ্বয় বলেন, সুলতানা কামাল ও বেলা নেত্রী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার উপস্থিতিতে একটি আলোচনা সভায় নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছিলেন, ‘নদীর পাড় দখল করে যারা মসজিদ তৈরী করে তারা নতুন প্রজন্মের রাজাকার।’ এমন সব বক্তবের কারনেই মন্দির গির্জা অক্ষত রেখে মসজিদ মাদরাসাা ভাঙার পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বুড়িগঙ্গার তীরের লোকজন থেকে জানা যায়, তালিকার ২৪ টি মসজিদ গড়ে উঠেছে ৪০ হতে ৭০ বছর পূর্বে এবং এই মসজিদগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াক্ফ করা ভূমির ওপর। মসজিদগুলো তৈরীর সময় নদীর তীর ছিলো মসজিদগুলো থেকে অনেক দূরে।
তারা আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবৈধ দখলের মার্কেট আড়ৎ, বাজার ইত্যাদি না ভেঙে মসজিদ ভাঙার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মসজিদ ভেঙে উদ্ধারকৃত ভূমি বিপুল অর্থের বিনিময়ে নদী দখলদারদের হাতে তুলে দেয়া। কারণ নদীর তীরের সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা থেকে বিআইডবিøউটিএ এর উর্ধ্বতর কর্মকর্তারা মাসিক ভাড়া আদায় করে থাকেন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডবিøউটিএর কোনো উদ্যোগ না থাকলেও মসজিদ ভাঙার বিষয়ে তারা অতি উৎসাহী। অথচ এসব পুরনো মসজিদ ভাঙার কোনো বিধান ইসলামে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।