পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : থ্যলাসেমিয়া বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১ কোটিরও বেশি। বাহকদের মাঝে বিয়ের কারনে প্রতি বছর এদেশে প্রায় ৭ হাজার শিশু থ্যলাসেমিয়া নিয়ে জš§গ্রহন করে। আক্রান্ত রোগীদের আজীবন অন্যের রক্ত গ্রহন করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিগত ১০ই জানুয়ারি থ্যালাসেমিয়া রোগটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করে। পাশপাশি ২০২৮ সালের মধ্যে দেশ থেকে থ্যালাসেমিয়া নির্মূলের ঘোষণা দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নেতৃত্বে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন এলইডি পাবলিক ডিসপ্লে সমূহে থ্যলাসেমিয়া সম্পর্কিত তথ্য প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া দিবস সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রচার। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সচেতনতায় বাল্ক এসএমএস প্রেরণ। থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার প্রদর্শন ইত্যাদি। এছাড়া দিবসটি উলক্ষে সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এদিন ন্যাশনাল এজমা সেন্টারের কনফারেন্স রুমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উলক্ষে সারাদেশের সব জেলায় সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বা এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসিমিয়ার জিন বহণ করে। এরমধ্যে ৪ শতাংশ লোক থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত, বেঁচে থাকার জন্য যাদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। দেশে বছরে সাড়ে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসিমিয়া নিয়ে জš§ গ্রহণ করে। সেই হিসেবে দিনে ২০ জনের বেশি শিশু থ্যালাসিমিয়া নিয়ে জš§ নেয়। কোন সহজলভ্য স্থায়ী চিকিৎসা না থাকায় প্রতিরোধই এ রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। থ্যালাসিমিয়া নিয়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসিমিয়া’ এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, দেশে প্রতি বছর এক হাজার ৪০ জন শিশু বেটা থ্যালাসেমিয়া মেজর এবং ৬ হাজার ৪৪৩ জন শিশু বেটা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জš§গ্রহন করে। বর্তমানে এদেশে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি শিশু এই রোগে ভুগছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দীন শাহ বলেন, রক্তের পরীক্ষা যেমন কমপ্লিট বøাড কাউন্ট (সিবিসি) এবং পেরিফেরাল বøাড ফিল্থ (পিবিএফ) পরীক্ষা করতে হবে। হিমোগেøাবিনের মাত্রা কম থাকলে হিমোগেøাবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস করে থ্যালাসিমিয়া রোগ নির্ণয় সম্ভব। মৃদু থ্যালাসিমিয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণ ও উপসর্গ খুবই অল্প থাকায় বøাড ট্রান্সিফিউশন লাগে না। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন কোন অপারেশন হলে বা প্রসবের পর অথবা কোন সংক্রমণ হলে প্রয়োজনবোধে রক্ত গ্রহণ করতে হয়। তিনি বলেন, থ্যালাসিমিয়া রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়। প্রয়োজনবোধে ওষুধ এবং রক্ত গ্রহণ করতে হয়। তাই এই রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল। এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হয়। এই রোগের স্থায়ী চিকিৎসা হচ্ছে ‘ব্যোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। যা অত্যন্ত ব্যয় বহুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।