পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের আইনজীবীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের জন্য কোনো নীতিমালা করা হবে না এবং নতুন বিধিনিষেধও আরোপ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সচিব বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালায়রে সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ হয়েছে, কমিশন তাদের চিঠি দিয়েছে। তারা বলেছে, এই দুই সিটি কর্পোরেশনের সীমানা নিয়ে জটিলতা নেই। এটা পরিষ্কার হওয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আমরা একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি তিনিই বিষয়টি দেখভাল করবেন। আশা করছি আমরা সেখানে নির্বাচন করতে পারব। সংবিধানের ১২৫ অনুচ্ছেদে (গ) বলা হয়েছে- কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তরর্বতী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না। ইসি সচিব বলেন, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমরা পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার কথা। কিন্তু (শুনানির জন্য) আমাদের যথেষ্ট সময় দেয়া হয়নি। আমরা নোটিশও পাইনি। আপিলে আইনি লড়াইয়ে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। কমিশনের লিখিত খসড়ায় ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধের কথা বলা ছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না সাংবাদিকরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করা থেকে বিরত থাকবেন। সাংবাদিকরা ভোটে প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয় খসড়া নীতিমালায।
খসড়ায় বলা হয়, ভোটদানের ছবি তোলা বা ভিডিও করা যাবে না। ভোটকেন্দ্রে কর্মরতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না। পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি স¤প্রচার করা যাবে না। ভোট গণণা সরাসরি স¤প্রচার না করা এবং একই সঙ্গে একাধিক সাংবাদিকের একই কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ ছিল খসড়ায়। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা ইসির এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন। সাংবাদিকরা বলেন, এই নীতিমালা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হতে পারে। তারা বলেন, গণমাধ্যকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে সচেতনভাবেই কাজ করছেন। বিদ্যমান আইন-বিধির যথাযথ প্রয়োগ হলে নীতিমালার প্রয়োজন পড়বে না। গণমাধ্যমের জন্য নীতিমালা না করে অবাধ, সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করতে কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগের পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা। একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না, এটা কেমন কথা? তার অনুমতি নিতে হলে তো ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। বাইরে বসে কীভাবে অনুমতি নেয়া যায়?’ আরেকজন সাংবাদিক বলেন, অনেক সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাও ভোটে করচুপি করেন। তাহলে তিনি কীভাবে অনুমতি দেবেন? এটা করা হলে সাংবাদিকবান্ধব হবে না। এর চেয়ে বলা হোক সাংবাদিকরা আপনারা বাইরে থেকে শুধু তাকিয়ে দেখুন। পরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, গণমাধ্যমের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা করা হচ্ছে না। নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের উদ্দেশ্য আমাদের নেই। গণমাধ্যম আমাদের সহায়ক শক্তি। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে ভোটের সংবাদ আরো কীভাবে সুচারুভাবে প্রচার করা যায়। ভোটকেন্দ্রে কর্মরতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না-এমন বিষয়ও যুক্ত রাখা হবে না। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করে নিজেদের নীতিমালা মেনে কাজ করে। আগামীতে এ কাজ আরো সুন্দর হবে আশা করি। কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি যেন না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখা হবে। যে কোনো অনিয়মের বিষেেয়া কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলেন সচিব। হেলালুদ্দীন বলেন, ভোটের দিন অনিয়মের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন দেখেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় সেল থাকে। সেক্ষেত্রে ফল প্রচার ও ব্যবস্থাপনায় একযোগে কীভাবে কাজ করা যায় তাও দেখা হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রোববার তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত শিমুলিয়া এলাকার আওয়ামীলীগের এক নেতার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। মতবিনিময় সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম-সচিব মিজানুর রহমান খন্দকার, এসএম আসাদুজ্জামান, ফরহাদ আহাম্মদ খান, উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।