পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে মারা যাওয়া সন্দেহভাজন আসামি মোহাম্মদ আসলাম (৪৫) লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ভাই আব্দুর রশীদ লাশ নিয়ে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে এখনও নিহত আসলামের স্ত্রী এবং শ্বশুর ডিবি হেফাজতেই রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গত রোববার ডিবির কর্মকর্তা বলেছিলেন, অসুস্থতা জনিত কারনেই হাসপাতালে আসলামের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের দুই পায়ের চিত্র বলছে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দুই পায়ে অনেক রক্ত জমাট কালো দাগ দেখা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও এমনটাই বলা হলেও ঠিক কি কারণে রক্ত জমাট ও কালো দাগ দেখা গেছে তা জানা যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তাকে (আসলাম) একটি অপহরণ মামলায় সন্দেহভাজন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রæত তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখন চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। আসামিকে হাসপাতালে পাঠানোর পর সব ধরনের সহযোগিতা করেছি আমরা। চিকিৎসকরা তার ময়নাতদন্ত করেছে। নির্যাতনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ কাউকে মারার জন্য গ্রেপ্তার করে না। কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে তার সঙ্গে মানবিক আচরন করা হয়। আটক অবস্থায় আসামি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। অপহƒত নিয়ামুল উদ্ধার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ামুলকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি।
সূত্র জানায়, আসলামকে গত শনিবার রাতে আটক করা হয়েছিল নিয়ামুল নামে তার এক নিকট আত্মীয়কে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে। শনিবার রাত থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রোববার ভোরের দিকে পেটে ব্যথা শুরু হয়। হার্নিয়ার সমস্যাও ছিল তার। ওই অবস্থায় সকাল ১০টায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার একপর্যায়ে বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। সন্ধ্যায় তাঁকে ফের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় আসলাম ‘বমি’ করার পরপরই মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরী বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।