পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর চামেলীবাগের বাসায় পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছে গৃহকর্মী। গতকাল ঢাকার মহানগর শিশু আদালতের বিচারক মো. আল-মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসের রায়ে বলা হয়, ওই গৃহকর্মী হত্যাকাÐে সহযোগিতা করেছিল- এ অভিযোগ সন্দোহীতভাবে প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। তাই খালাস দেওয়া হলো। রায় ঘোষণার সময় ওই গৃহকর্মী আদালতে উপস্থিত ছিল। খালাসের রায় শুনে সে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সে বলে, আমি হত্যাকাÐে কোনো সহযোগিতা করি নাই। আমি দোষী না সেটা বলছিলাম। ওই গৃহকর্মীর আইনজীবী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে সে ন্যায়বিচার পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে বিচার শুরু হয়। কিন্তু সেই অভিযোগ থেকে এখন নির্দোষ প্রমাণিত হলো। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর আপিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন।
ওই হত্যাকাÐের যখনার সময় গৃহকর্মীর বয়স ছিল ১১ বছর। বর্তমানে ১৬ বছরের এই তরুণী খালাসের রায় পেয়ে খুবই আনন্দিত। এরআগে ২০১৪ সালে ২০ মে থেকে ওই হত্যা মামলায় সে জামিনে ছিল। ওই গৃহকর্মী বর্তমানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হেফাজতে আছে। গতকাল রায় ঘোষনার আগে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাঠকর্মী শাসসুন্নাহার সঙ্গে করে ওই গৃহকর্মীকে আদালতে নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে শামসুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, মিরপুরে তাদের নির্মল পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকে। ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া ও জীবন গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু আইন ও শালিস কেন্দ্র থেকে করা হবে। তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে ওই গৃহকর্মী দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। মামলার কার্যক্রমের কারণে সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। তবে এখন আবার তার পড়ালেখার ব্যবস্থা করা হবে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর ও তার স্ত্রী স্বপ্নার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যায় স্কুলছাত্রী ঐশী। এ ঘটনায় পরদিন মাহফুজুরের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর গৃহকর্মীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী। পরে ঘটনার তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। গৃহকর্মী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইনে একটি এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ঢাকার তিন নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক সাঈদ আহমেদ ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলার রায়ে ঐশীকে মৃত্যুদÐ দেন। পরে হাই কোর্ট গতবছর তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয় ঐশীকে। আর গৃহকর্মী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মামলায় তার অংশের বিচার চলে শিশু আদালতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।