পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় এবার কমেছে শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। বেড়েছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। শতভাগ পাস শিক্ষার্থী পাস করেছে এবার এমন প্রতিষ্ঠানে সংখ্যা এক হাজার ৫৭৪টি। যা গতবারের চেয়ে ৬৯২টি কমেছে। আর সবাই ফেল করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে ১৬টি। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাসের হার নেমে এসেছে নয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এবছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ৫৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে; গতবছর এই সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৩৫৯টি। এক বছরেই প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৯৯টি। এবারের পরীক্ষায় সারাদেশে এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর ২ হাজার ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এই হিসেবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৯২টি।
এর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক মাদরাসা বোর্ডেই শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বোর্ডে শতভাগ পাস করেছে ৭৫৭টি প্রতিষ্ঠান। এরপরেই ঢাকা বোর্ডে ১৮৪টি, রাজশাহী বোর্ডে ২০৬টি, কারিগরি বোর্ডে ৯৬টি, দিনাজপুর বোর্ডের ৮৪টি, কুমিল্লা বোর্ডের ৭৪টি, যশোর বোর্ডের ৭৩টি, বরিশাল বোর্ডের ৫০টি, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২৭টি এবং সিলেট বোর্ডের ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মাধ্যমিক এই পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। গত বছর ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। এবার সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯টিতে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।
শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের মতো শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠানের দিক থেকেও মাদরাসা বোর্ড শীর্ষে। এই বোর্ডের ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের কোন পরীক্ষার্থী পাস করেনি। এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডে ৫টি, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে তিনটি করে এবং রাজশাহী ও যশোর বোর্ডে একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কারিগরি বোর্ডে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।