পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধান বিচাররপতি এস কে সিনহাকে তার বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই ব্যবসায়ীর আইনজীবীরা। গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার সঙ্গে আসা তাদের আইনজীবী সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। আইনজীবিরা হলেন-আফাজ মাহমুদ রুবেল এবং নাজমুল আলম। সকাল ১০টা থেকে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
পরে এবিষয়ে ওই দুজনের আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের পাঁচ কাঠা জমির উপর ৫১ নম্বরের ছয়তলা বাড়িটির মালিক সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা। তিনি ছয় কোটি টাকার মূল্যে বাড়িটি বিক্রি করেন টাংগাইলের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রী রায়ের কাছে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে বায়না দলিলের মাধ্যমে বিচারপতি এসকে সিনহার কাছ থেকে বাড়িটি শান্ত্রী রায় মালিক হন। তখনই বাড়ি বাবদ দুই কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর একই বছরের ৮ নভেম্বর দুইটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা দেয়া হয়। পরে ২৪ নভেম্বর এস কে সিনহা হস্তান্ত দলিলের মাধ্যমে শান্ত্রী রায়কে বাড়িটি লিখে দেন। নিরঞ্জন সাহা শান্ত্রী রায়ের স্বামী রনজিতের চাচা; আর শাহজাহান রনজিতের বন্ধু। তাদের সবার বাড়ি টাংগাইল। ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের আরেক আইনজীবী নাজমুল আলম বলেন, নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। এতে থার্ড পার্টি হিসেবে শান্ত্রী রায়ের বিভিন্ন জমি মর্টগেজ হিসাবে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। এই ঋণ থেকেই বাড়ির চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। ওই চার কোটি টাকা একই বছরের ১৬ নভেম্বর অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।
ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ ও পে-অর্ডারে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দেয়ার অভিযোগে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুই ব্যবসায়ীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ওই দুই ব্যবসায়ীর ঢাকার উত্তরায় তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং টাঙ্গাইলের স্থায়ী ঠিকানায় নোটিশ পাঠানে হয়। তবে দুদকের তলবি নোটিশে গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ নেই। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নাম উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপে পড়ার পর গত বছরের অক্টোবরে ছুটি নিয়ে অস্ট্রলিয়া চলে যান। এরপর বিদেশ থেকেও প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন এস কে বিচারপতি সিনহা।
বিচারকরা এখন সিনহা আতঙ্কে ভুগছেনÑ মাহবুব উদ্দিন খোকন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, বিচার বিভাগে এখন বিচারপতি এস কে সিনহা আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ সরকারের মনমতো রায় না দেয়ায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। সেই কারণে বিচার বিভাগের সব বিচারক এখন সিনহা আতঙ্কে ভুগছেন। গতকাল রোববার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ভবনের ল‘ রিপোর্টার ফোরামের কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামীকাল সারা দেশের বারগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। কর্মসূচি পালনের আহŸান জানিয়ে ফোরামের মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগে এখন বিচারপতি সিনহা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারের মনমতো রায় না দেয়ায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তাই সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারকরা সিনহা আতঙ্কে ভুগছেন। মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, সরকার দুদককে (দুর্নীতি দমন কমিশন) ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জেলে আছেন। তিনি দেশের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেত্রী। আমরা পাঁচ আইনজীবী তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমরা জেনে এসেছি তিনি অসুস্থ। তাই তার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বারগুলোতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার এক এম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।