পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : অগ্নি দুর্ঘটনা নয়, পরকীয়ার জেরে খুন হন রাঙ্গুনিয়ার যুবলীগ নেতা আবুল হাশেম। এ ঘটনায় গ্রেফতার জিফু বেগম (৩৫) খুনের দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা। সম্পর্কে জিফু যুবলীগ নেতার চাচি শাশুড়ি। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তাকে ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই যুবলীগ নেতা। আর এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি তাকে হত্যা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ জানান, জিফু খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিতেও রাজি হয়েছেন।
গতকাল (রোববার) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জিফু বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানান, দুই বছর ধরে হাশেম তার উপর নানাভাবে যৌন নির্যাতন করে আসছিল। লোকলজ্জা এবং প্রাণভয়ে সে তার লালসা থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছিল না। আর এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে বলে দাবি জিফু বেগমের। দুই সন্তানের জননী জিফু বেগমের স্বামী অটোরিকশা চালক। তাদের বাসা রাঙ্গুনিয়া পৌর সদরে।
রাঙ্গুনিয়া পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়র্ডের ইছামতি এলাকার একটি বাসা থেকে গত শুক্রবার উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বাচার (৫০) পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, ঘরে থাকা একটি সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাস জমে যাওয়ায় সেখানে আগুন লেগে তার মৃত্যু হয়। আগুনে হাশেমের পুরো শরীর পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। আগুনে ঘরের আসবাবপত্রও পুড়ে যায়। হাশেমের স্ত্রী ও সন্তান সেই রাতে বাসায় ছিলেন না। সকালে ধোঁয়া দেখে ওই বাসায় আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। তবে পুলিশ পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে ঘটনা পরিকল্পিত বলে নিশ্চিত হয় এবং তদন্তে মাঠে নামে। একপর্যায়ে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন জিফু বেগমকে।
জিফু বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাশেমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী ও সন্তান বাসায় না থাকার সুবাদে ওই যুবলীগ নেতা তাকে রাতে বাসায় যেতে বলেন। আর এ সুযোগে তিনি তাকে খুনের পরিকল্পনা করেন। তিনি জুসের সঙ্গে হাশেমকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পরে সিলিন্ডার খুলে দিয়ে আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করে ওই বাসা থেকে চলে যান। নির্মম হত্যাকাÐের শিকার হাশেম এক পুত্র সন্তানের জনক। এদিকে যুবলীগ নেতা স্বজনরা দাবি করেন, জিফু বেগমের সাথে তার পরকীয়া ছিল দীর্ঘ দুই বছর ধরে। হাশেম কোন নির্যাতন করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।