পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে চলমান আন্দোলনের ধরণ আগামীতে পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলনের ধরণ পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু সেই পরিবর্তন হবে প্রয়োজনের তাগিদে এবং সেই পরিবর্তন হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবং দলের যে নেতৃত্ব সেই নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। গতকাল (রোববার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এ্যাকটিভ সিটিজেন অব বাংলাদেশ’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিশেষ সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণ জানে যে, বার বার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকবার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে বিএনপি। সেইজন্য তারা আশা করে বিএনপি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে। আমরা এরশাদের বিরুদ্ধে আরো বড় আন্দোলন করেছি, এই সরকারের বিরুদ্ধেও বড় আন্দোলন করেছি আমরা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার চেষ্টা করবে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করার। কারণ বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নাই। তারা জানে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাবো না। সেজন্য তারা তাকে বেআইনিভাবে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় রায় দিয়ে আটকে রেখেছে। তবে আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই, দেশনেত্রীকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে হবে না, জনগণ হতে দেবে না
খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিলো সেটা তো ভুল ছিলোই এমনকি যে সাজা তাকে দেয়া হয়েছে, এই ধরণের সাজাপ্রাপ্ত বহু মানুষ হাইকোর্টে যেদিন তাদের আপীল গৃহীত হয়েছে ওইদিনই তারা জামিনে মুক্ত হয়ে গেছে। কিন্তু তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেয়া হলো না। এখন উচ্চ আদালত সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ কৌশলে বেগম খালেদা জিয়াকে আরো অনেকদিন আবদ্ধ রাখা হচ্ছে। এর দ্বারা ইচ্ছাপুরণ হলো সরকারের। জনগণ এতে অসন্তুষ্ট হয়েছে। আইনের শাসন সম্পর্কে জনগনের দুচিন্তা বেড়েছে। আমরা তারপরও আশা করি, ৮ তারিখে শুনানি আছে জামিনের। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত পাবো। যদিও ইতিমধ্যে অন্যান্যা মামলায় তাকে আটকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চলছে। আমরা আশা করবো সুপ্রিম কোর্ট ইচ্ছা করলেও সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে পারেন। এসময় আলোচনা সভায় সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নজমুল হক নান্নু, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।