পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর উৎক্ষেপণের আগে টেস্টিং রান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সবচেয়ে বড় ধাপটি পেরিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। গতকাল (শনিবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় স্যাটেলাইটটি বহনকারী ফ্যালকন ৯ রকেটের ‘স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট রান’ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে উৎক্ষেপণের দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। টেস্টিং সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, শনিবার সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের টেস্টিং হয়েছে। টেস্টিংয়ের রেজাল্টের সব ডাটা লস এঞ্জেলসে স্পেসএক্স এর হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়েছি। এসব ডাটা বিশ্লেষণ করে তারা বিস্তারিত বিষয় আমাদের জানাবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মেসবাহুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর টেস্টিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি। রিভিউ শেষ হলেই উৎক্ষেপণের তারিখ নিশ্চিত করা হবে। যে কোনো মহাকাশযান বা রকেট মহাশূন্যে উৎক্ষেপণের আগে এর বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতা দফায় দফায় পরীক্ষা করা হয়। স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট এমনই একটি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় রকেটের ইঞ্জিন পূর্ণ শক্তিতে চালু করে পরীক্ষা করা হয়। তবে ওই অবস্থায় ভেজা কিন্তু দৃঢ় ভিত্তির ওপর শক্তভাবে আটকে রাখা হয় রকেটটিকে। ইঞ্জিন স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সফলভাবে পার করা মানে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পথে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার একটিতে উতরে যাওয়া। এর আগে আবহাওয়াজনিত কারণে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে ৭ মে নির্ধারণ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএবি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা জানান। এর আগেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কয়েকবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ পাল্টানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা’র কেপ ক্যানাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এটির কক্ষপথ হবে মহাকাশের ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায়। স্যাটেলাইটটির নির্ধারিত ¯øটে পৌঁছাতে আট দিন সময় লাগবে। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার উপপ্রহ কোম্পানি ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল ¯øট) কেনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। স্যাটেলাইটটি ১৫ বছর মেয়াদের মিশনে পাঠানো হচ্ছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ট্যারিস্টরিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকা, পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে। #####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।