পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল সোমবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঢাকার বিএএফ বেইজ বাশার হেলিপ্যাড থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। প্রেসিডেন্টের প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় জানানো হয়, সোমবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করে ১টা ৫০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রেসিডেন্ট। এরপর দুপুর ২টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া থেকে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান জানান, প্রেসিডেন্টের আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট-এর সফর নির্বিঘœ করতে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন প্রেসিডেন্ট
বৈষম্য, নিপীড়ন আর পরিকল্পিত নির্যাতনে বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও শান্তিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের সম্মানে দেয়া নৈশভোজে আবদুল হামিদ এ সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ, ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ এ আল-ওথাইমিন এবং সহকারী মহাসচিব ভোজসভায় যোগ দেন। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জন¯্রােতের ভয়ানক চাপের মুখোমুখি। প্রতিবেশি মিয়ানমারে যা ঘটেছে, সেটি কেবল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিরই লঙ্ঘন নয়, বরং এটি জাতিগত নিধনের জলন্ত দৃষ্টান্ত। রোহিঙ্গাদের ওপর কয়েক দশক ধরে চলমান নিপীড়নযজ্ঞের বিবরণ তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৮২ সালে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার হরণ করা হয়েছে। নাগরিক ও রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ বঞ্চিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ হরণ করা হয়েছে। তারা তাদের দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যুগের পর যুগ। রোহিঙ্গাদের জন্য এবং একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ওআইসির অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট। এর আগে সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। এতে ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ ছয় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।