Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধুনিক খুলনা গড়তে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে : খালেক

ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী দুঃশাসনের জবাব দেবে জনগণ : মঞ্জু

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 আবু হেনা মুক্তি : কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে শাসক দলের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বেপরোয়া আচরন করছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য এসে খুলনার পুলিশ ও জনপ্রশাসনকে প্রভাবিত করেছে। 

পুলিশ ও ডিবি লেলিয়ে দিয়ে গ্রেফতার হয়রানি করা হচ্ছে ধানের শীষের কর্মীদের। কিন্ত জনগন এদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। তারা পরিবর্তন চায়। তারা ভোটে ব্যালটের মাধ্যমে এই সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের জবাব দিতে চায়। ১৫ তারিখ হবে একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার ও গণতন্ত্রের বিজয়ের দিন।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের রূপসা নদীর তীরে পাইকারি মাছ বাজারে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে নগরীর বাজারঘাটের উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সকালে তিনি পাইকারি মাছ বাজারে গণসংযোগ শেষ করে রূপসা ফেরীঘাট, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, রূপসা শ্মশান রোড ও সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় বসবাসকারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, তাদের হাতে ধানের শীষের লিফলেট তুলে দেন এবং নির্বাচনে ভোট চান।
আধুনিক খুলনা গড়তে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে- খালেক
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পরেও খুলনার অনেক এলাকা এখনো উন্নয়ন বঞ্চিত। জলাবদ্ধতা, মাদক ও মশা খুলনা সিটির অন্যতম প্রধান সমস্যা। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের আমি উক্ত সমস্যাগুলো দূরীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু পরের বার নির্বাচিত না হওয়ায় সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এবছর মেয়র নির্বাচিত হলে উক্ত সমস্যা সমাধান করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।
মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশের অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়ন হলেও নগর পিতার অভাবে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে খুলনার উন্নয়ন কর্মকান্ড। বর্তমান মেয়র সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগতে থাকায় বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বিদেশী সংস্থা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগকালে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। সকাল ৯টায় তিনি ময়লাপোতাস্থ আমতলা মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এর আগে তিনি ভোরে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা-২ এ কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও পরে ইয়ং বয়েজ ক্লাবে মতবিনিময় করেন।
এদিকে, নগরীর সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতায় অগ্নিকাÐে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। এসময় মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসানকে ফোন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করতে বলেন। এছাড়া অগ্নিকাÐে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে আওয়ামী লীগ ও তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।
২০১৮ হবে গণতন্ত্র মুক্তির বছর : জয়নাল আবেদিন ফারুক
২০১৮ সালকে গণতন্ত্র মুক্তির বছর উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছেন, ইনশাল্লাহ এ বছরই আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হবে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে এবং সেই ভোটে জনগনের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। দেশ থেকে অনির্বাচিত সরকারের অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম নির্যাতনের অবসান হবে। আর ইনশাল্লাহ আগামী ১৫ মে নির্বাচনে খুলনাবাসীর একান্ত আপনজন নজরুল ইসলাম মঞ্জু মেয়র নির্বাচিত হবেন।
গতকাল শনিবার দিনভর নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডে কয়েক দফায় চালিত গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, একরামুল হক হেলাল, নাসির খান, কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ সাব্বির আহমেদ, কামাল সিদ্দিকী, আকবর হোসেন, জামালউদ্দিন মোড়ল, সৈয়দ বোরহান, শফিকুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।
খুলনায় বিএনপির ৭ কর্মী গ্রেফতার
খুলনা জেলার রূপসা ও দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রবি, রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান ঝনো, নৈহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবাদুল ইসলাম, রহিমনগরের বিএনপি কর্মী জহর আলী ও মনা, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন এবং সেনহাটির ইউপি মেম্বর মোহাম্মদ আলী মিন্টু।
খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীরা কয়েকদিন ধরে কেসিসি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছিলেন। পুলিশ তাদেরকে প্রচারণায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য গ্রেফতার করেছে।’ তিনি এ গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ