Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলার প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর -স্পিকার

বাসস | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৮, ৭:৩৭ পিএম | আপডেট : ৭:৩৯ পিএম, ৫ মে, ২০১৮

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলার প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শনিবার ভোরের কাগজ ও প্রীতিলতা ট্রাষ্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ‘বোনেরা নিজেদের দূর্বল ভাববেন না’ বিপ্লবী অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার লেখা শেষ চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক নারীই তার নিজের অধিকার নিজেই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।

বীর কন্যা প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিদ্রোহে বিপ্লবে এ মাটির অগ্নিকন্যা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্পিকার বলেন, পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে প্রীতিলতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা যুগ যুগ ধরে সকল নারী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।

তিনি বলেন,শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নারীরা এগিয়ে যায়। সময়ের প্রয়োজনে বাংলার নারীরা কখনই পিছপা না হয়ে অগ্রসর হয়েছে সম্মুখ পানে ভবিষ্যতেও নারীদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। নারী নেতৃত্ব তথা প্রীতিলতার নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রতি আস্থা রেখেই মাষ্টার দা সূর্য্য সেন প্রীতিলতাকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, নারীর রয়েছে অন্তর্নিহিত শক্তি চরম দৃঢ়তা ও আত্ম প্রত্যয় নিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ ও ত্যাগ প্রশংসনীয়।

স্পিকার বলেন, ‘গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের আমরা অধিকারী। এই ইতিহাস এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেও প্রস্তুত ছিলেন প্রীতিলতা। এই দেশকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসতে যেসব নারীরা অবদান রেখেছেন তাদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে শিখতে ও জানতে হবে।’

তিনি বলেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী থেকে বিশ্লেষণধর্মী বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। সেগুলো অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও তা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নারীরা এগিয়ে এসেছেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর পেছনে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কাজ করে এটি হলো আত্মপ্রত্যয়। চরম দৃঢ়তা ও সাহস থাকলে যেকোন সংকট উত্তোরন সহজ হয় এবং যে কোন দুর্জয়কে জয় করা যায়। যার পেছনে থাকে তার অন্তর্নিহীত শক্তি, যা প্রীতিলতার জীবনে দেখতে পাওয়া যায়।

১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা উল্লেখ্ করে তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ের পর স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুতরাং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও নারীর পরিচয় দেখতে পাওয়া যায়।

সভায় বক্তারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক হান্নানা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, নাট্য ও সংগীত ব্যক্তিত্ব শম্পা রেজা ও প্রীতিলতা ট্রাষ্টের সাধারণ সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবীর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করে খেলাঘরের শিল্পীবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্পিকার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ