পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সউদী আরব থেকে অভিবাসী নারী কর্মীরা এখনো খালি হাতে দেশে ফিরছে। নানাভাবে নির্যাতনের শিকার এসব নারী কর্মীর মধ্যে কেউ কেউ মুক্তি পণ দিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে। কর্মস্থলে নিরাপত্তার অভাব এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে অনেকেই পালিয়ে সফর জেলে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। কেউ কেউ তিন মাস ছয় মাস কাজ করে দেশে ফিরতে চাইলে তাদেরকে কোনো বেতন দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ-এর একটি ফ্লাইট যোগে সউদী আরব থেকে ৩৫ জন নারী কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরেছে। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছে এসব নারী কর্মীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু একটি পলিথিনের ব্যাগ নিয়ে দেশে ফিরেছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের আখলিমা বেগম, একই জেলার ভৈরবের নৈন্দা গ্রামের স্বর্ণা, নরসিংদীর বেলাবোর জ্যোৎন্সা বেগম, যশোরের মনিরামপুরের রোজিনা, খুলনার পাইকগাছা’র রীনা বেগম ও কিশোরগঞ্জের সালমা আক্তার বৃহস্পতিবার রাতে সউদী আরব থেকে খালি হাতে ঢাকায় পৌছে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কুলিয়ারচরের অভিবাসী নারী কর্মী বিধাব আখলিমার মা হাসনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ফকিরাপুলের এস এ ট্রেডিং রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিক আব্দুল আলিমকে ৭০ হাজার টাকার মুক্তি পণ দিয়ে নির্যাতনের শিকার মেয়ে আখলিমাকে দেশে এনেছি। অসুস্থ আখলিমা ইনকিলাবকে বলেন, সউদী থেকে তিন মাসে এক টাকাও আনতে পারিনি। আমি সউদী আরব থেকে বাইচ্যা আমু কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি। রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিক আব্দুল আলিম মিথ্যা কথা বলে রিয়াদে পাঠিয়েছে। রিয়াদে আমি যেতে চাইনি বলে সে যাওয়ার আগে আমাকে মদিনায় চাকুরি দেয়ার মিথ্যা কথা বলে তিন দিন তার বাসায় রেখেছিল। প্রত্যাগত নারী কর্মী আখলিমার মা হাসনা বেগম বলেন, মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য জমির দলিল ব্যাংকে জমা রেখে এক লাখ টাকা ঋণ এনে ৭০ হাজার টাকা এস এ ট্রেডিং-এর মালিককে মুক্তি পণ দিয়ে তার পর নির্যাতনের শিকার মেয়ে আখলিমাকে দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি। মেয়েকে দেশে ফেরত আনতে প্রথমে দু’ই লাখ টাকা দাবী করা হয়েছি। কোনো উপায় না দেখে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের ফোনের পর টাকা নেয়ার পর মেয়েকে ফেরত পেয়েছি। খুলনার রীনা বেগম বলেন, তিন জায়গায় প্রতিদিন কাজ করাতো। বেতন ঠিক মতো দিতো না। বহু হয়রানি ও মারধোরের শিকার হয়ে সউদী’র সফর জেলের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছি। সউদীর ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে এবং সেইফ হোমে এখনো বাংলাদেশী নির্যাতিত অভিবাসী নারী কর্মীরা দেশে ফেরার জন্য প্রহর গুনছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।