Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এমএইচ৩৭০ খুঁজতে গিয়ে সাগরতলে জাহাজের সন্ধান

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর সন্ধানে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সাগরের তলদেশে পাওয়া গেছে দুটি জাহাজ, যেগুলো উনিশ শতকে ডুবে গিয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিবিসির খবরে বলা হয়, চার বছর আগে নিখোঁজ ওই বিমানের খোঁজে মালয়েশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে ২৩০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজ দুটির ধ্বংসাবাশেষ পাওয়া যায়। তবে এতদিন তা প্রকাশ করা হয়নি।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের একটি দল বৃহস্পতিবার জাহাজ দুটি শনাক্ত করার সম্ভাব্য আলামতগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। জাহাজের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র গবেষকরা সোনারের মাধ্যমে নেওয়া জাহাজের ছবি এবং জাহাজ চলাচলের পুরনো তথ্য ব্যবহার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে উনিশ শতকে হারিয়ে যাওয়া দুটি কয়লাবহনকারী জাহাজের ‘লাপাত্তা’ হওয়ার রহস্য উন্মোচনের কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে বলে গবেষকরা দাবি করছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেইফটি ব্যুরোর (এটিএসবি) অনুরোধে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়াম আন্তর্জাতিক দুই জাহাজ থেকে পাওয়া সোনার ও ভিডিও ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করেন। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়ামের মেরিটাইম আর্কিওলজির কিউরেটর রস অ্যান্ডারসন।
রস অ্যান্ডারসন বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া লোহার জাহাজটির সাথে ২৮ জন নাবিক নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ভারত যাওয়ার পথে ১৮৮৩ সালে ‘হারিয়ে’ যাওয়া দ্য ওয়েস্ট রিজের সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। ‘এক হাজার থেকে দেড় হাজার টন ওজনের জাহাজটি সমুদ্রের চার কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে প্রায় অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে’। কাঠের তৈরি অপর জাহাজটি ১৮৯৭ সালে ১০ জন নাবিক নিয়ে স্কটল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ডবিøউ গর্ডন অথবা ১৮৮২ সালে ওয়েলস থেকে ইন্দোনেশিয়ার পথে হারিয়ে যাওয়া ম্যাগডালা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তবে অসম্পূর্ণ পুরনো তথ্যের কারণে জাহাজগুলোকে সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই সময় মালয়েশিয়া জানায়, বিমানটি ‘সচেতনভাবে পথ ঘুরিয়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে’ রওনা করেছিল।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে ভারত মহাসাগরের নির্দিষ্ট অনুসন্ধান এলাকার দক্ষিণপ্রান্তে অনুসন্ধানস্থল থেকে চার হাজার কিলোমিটার দূরে রিইউনিয়ন দ্বীপের সৈকতে বিমানের ডানার একটি অংশ পাওয়া গিয়েছিল।
এক হাজার ৪৬ দিনের নিষ্ফল অভিযানের পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এমএইচ৩৭০ খোঁজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানি ওশ্যান ইনফিনিটি পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করার পর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়েও বোয়িং ৭৭৭ বিমানের নিখোঁজ রহস্যের সুরাহা করতে পারেনি।
গত জানুয়ারিতে ৯০ দিনের মধ্যে বিমানের ভগ্নাংশ অথবা বø্যাকবক্স উদ্ধার করতে পারলে ওশ্যান ইনফিনিটিকে ৭ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মালয়শীয় সরকার। সূত্র : ওয়েবাসইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ