Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকার বায়ু দূষণে বার্নিকাটের অ্যাজমা

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার দূষিত বায়ুর কারণে পুরনো অ্যাজমার সমস্যা ফের নতুন করে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি জানান, অ্যাজমা প্রায় সেরেই গিয়েছিল। কিন্তু তিন বছর আগে বাংলাদেশে কাজে যোগ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে তিনি টের পান, সমস্যা ফের দেখা দিয়েছে। আর এর কারণ ঢাকার দূষিত বায়ু। ঢাকায় আসার তিন মাসের মধ্যে এক রাতে আমার ঘুম ভেঙে গেল, নিঃশ্বাস নিতে হাঁসফাঁস হচ্ছিল। তা ছিল অ্যাজমারই লক্ষণ। ফের চিকিৎসকের কাছে যেতে হল আমাকে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে বায়ু দূষণ এবং তার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এডওয়ার্ড এফ কেনেডি সেন্টার আয়োজিত ওই গোলটেবিল আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। বার্নিকাট বলেন, আমি বাংলাদেশে আসার আগে চিকিৎসক বলেছিলেন তার আর নিয়মিত ইনহেলার নেওয়ার প্রয়োজন নেই, যখন খুবই প্রয়োজন হবে তখন নিলেই চলবে। চিকিৎসক বললেন, এখন মার্চ (তখন মার্চ মাস ছিল), মাসখানেকের মধ্যে বৃষ্টি নামবে, বাতাস পরিষ্কার হয়ে যাবে। তিনি ঠিকই বলেছিলেন। বৃষ্টি নামার পর আমি ভালো বোধ করতে থাকলাম। এরপর থেকে ডিসেম্বরের দিকে অ্যাজমার সমস্যায় ভুগতে হয় বার্নিকাটকে। আমার সেরে ওঠাটা সেভাবে হচ্ছে না। এটা আমার নিজের জন্য একটা সমস্যা, আমার স্বাস্থ্যের জন্যও সমস্যা। বিশ্বের ৬৭টি দেশের ৭৯২টি শহরের বাতাসের মান নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডবিøউএইচও। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ি ঢাকা দূষিত নগরীর দিক থেকে তৃতীয়। বায়ুর বিচারে ঢাকার চেয়ে দূষিত মেগাসিটিগুলো হচ্ছে ভারতের দিল্লি ও মিশরের কায়রো।
গোলটেবিলে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এখানে শুষ্ক মৌসুমে বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর এজন্য দায়ী ইটভাটা, চালকল ও সড়কের ধুলোবালি। পরিবেশ অধিদপ্তরের চিফ কেমিস্ট মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব বলেন, বায়ু দূষণের ৫৮ শতাংশ হয়ে থাকে ইটভাটার কারণে। বাংলাদেশে নির্মাণ কাজের ব্যবহৃত সামগ্রীও বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন তিনি। আমরা মিহি বালু ব্যবহার করি, অন্য দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দানাদার বালু ব্যবহার হয় । মিহি বালু খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, বায়ু দূষণ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করেছে। তিনি জানান, বায়ু দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে ৫৯ লাখ মানুষ মারা যায়, এর ৩৩ লাখের মৃত্যুর কারণ অভ্যন্তরীণ দূষিত বায়ু। অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের নানা রোগ এই বায়ু দূষণের জন্যই বেড়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ