পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদদুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে নারী সংবাদ পাঠক (সাংবাদিক) সঙ্গে নিজের আচরনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মিজানুর রহমান বলেন, যা কনভারসেশন হয়েছে, আই অ্যাম সরি। গত বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ সপ্তাহ শুরুর আগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক তোলপাড় হয়। এরপর ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিজান বলেন, আমার যে সম্পদ আছে এ বিষয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই। বাকিটুকু তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তার আত্মীয়-স্বজনদের নামে সম্পদ আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আবারো বলি, যে জায়গায় সম্পদ আছে বা আমার আত্মীয়-স্বজনের নামে যে সম্পদ আছে তা আমার ট্যাক্স ফাইলে আছে।নারী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিজান বলেন, এ বিষয়ে আমি বলবো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে। সুতরাং ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি। তিনি বলেন, সাংবাদিক এক ভদ্রমহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি সরি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তাকে তলব করা নোটিশ দিয়েছিল। নামে- বেনামে ডিআইজি মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে। ওই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালককে ১০ ফেব্রæয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়।
এছাড়াও ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে- বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকি দেশের বাইরে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কমর্রত ছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।