Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবহার কমানোর তাগিদ সিগারেটের মূল্যস্তর দুটিতে রাখাসহ ৪ দাবি

প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে এর ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে দেশে তামাকপণ্যের দাম সস্তা এবং তা দিন দিন আরও সস্তা হচ্ছে। বিশেষ করে তামাকপণ্যের ধরন ও ব্র্যান্ডভেদে ব্যাপক মূল্য পার্থক্য থাকায় ভোক্তা তুলনামূলক সস্তা ব্র্যান্ড/তামাকপণ্য ক্রয় করতে পারছে, যা তামাক করের কার্যকারিতা হ্রাস করছে। আর তাই আগামী ২০১৮-১৯ বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা দুইটিতে (নি¤œ এবং উচ্চ) নামিয়ে আনা, ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনি¤œ মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্তকরা এবং সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর আহবান জানানো হয়েছে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা’র উদ্যোগে তামাক বিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা) এবং তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) সম্মিলিতভাবে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক সভাপতিত্ব করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, বাংলাদেশ কান্ট্রি এডভাইজার ও ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস শফিকুল ইসলাম, দি ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ও এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ।
বক্তারা জানান, এসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে প্রায় ৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (৩ দশমিক শূণ্য ৭ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ৩ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে। সিগারেটের ব্যবহার ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং বিড়ির ব্যবহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পাবে। দীর্ঘমেয়াদে ২ দশমিক শূণ্য ১ মিলিয়ন বর্তমান ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে (১ দশমিক শূণ্য ৮ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং শূণ্য দশমিক ৯৪ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) এবং ৭৫ থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা (অথবা জিডিপি’র শূণ্য দশমিক ৪ শতাংশ) অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ