Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঢামেক হিমাগারে শিশুর গালে গোশত নেই

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের হিমাগারে রাখা এক শিশুর গালের একাংশে গোশত নেই। নিহত শিশুটির গালের গোশত কি কারনে নেই তা তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গুলশান থানার এসআই ফারুখ আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ এপ্রিল ভাটারার নর্দার একটি বাসায় সোহান হাওলাদার (১৮ মাস) নামের শিশুটির গায়ে গরম ডাল পড়ে। এতে তার শরীরের ১৬ ভাগ পুড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর শিশুটির লাশ জরুরি বিভাগের হিমাগারে রাখা হয়। বিকেলে শিশুটির স্বজনরা থানায় জানালে ঢামেকে আসি। লাশ হিমাগার থেকে বের করে দেখি তার বাম পাশের গালে ক্ষত। ক্ষতস্থানটি ছিল রক্তাক্ত। সম্ভবত ফ্রিজের দরজা খোলা ছিলো। শিশুটির গাল সম্ভবত ইঁদুরে খেয়েছে। অব্যবস্থাপনার জন্যই এমনটি হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম সোহাগ হাওলাদার। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে। ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ রাখার ফ্রিজে পেছনের দিকে বড় একটি গর্ত দেখা গিয়েছে। ওই গর্ত দিয়ে বেজি বা ইঁদুর ঢুকে থাকতে পারে।
শিশুটির চাচা সুজন হাওলাদার বলেন, ১৬ ভাগ পোড়া ক্ষত নিয়ে ঢামেকে সোহানকে ভর্তি করা হয়। মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ হিমাগারে রেখে গেলাম। এখন তার গালে এতো বড় ক্ষত কেন? ওর গালে তো কোনো ক্ষত ছিল না।
সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম নাসির উদ্দিন সংবাদ পেয়ে জরুরি বিভাগের হিমাগারে ছুটে যান। তিনি শিশুটির স্বজনদের স্বান্তনা দিয়ে বলেন, বিষয়টি খুব বেদনাদায়ক, কেন শিশুটির গালে ক্ষত হলো। যারা এই বিভাগের হিমাগারের দায়িত্বে আছেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, ভবিষ্যতে যেন এমন দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ