পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমন্ত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম আমরা। আমরা কারও বিরুদ্ধে নালিশ দিতে যাইনি।
গত সোমবার রাতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের বাসায় দেখা করে আসার পরদিন মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মে দিবসের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘আদমজী জুট মিলস চালু সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বার্নিকাটের দাওয়াতের প্রসঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ‘নালিশ পার্টি’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বরাবরই বলে থাকেন, দলটির নেতারা কূটনীতিকদের কাছে ‘নালিশ’ করতে যান।
ভারত সফর করে আসার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতাদের যাওয়ার পেছনে আগামী নির্বাচনের কোনো বিষয় ছিল কি না, তা ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের ওখানে দাওয়াত খাওয়া কোনো গোপনীয় বিষয় নয়। জানুয়ারি থেকে সময় মেলানো যাচ্ছিল না, এখন সময় মিলেছে, উনার দাওয়াতে আমি গিয়েছি, আমার সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করিনি। সভা-সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে যা বলি, তা ভারতেও বলিনি, গতকাল এখানেও বলিনি।
বাংলাদেশের নির্বাচন কিংবা রাজনীতি নিয়ে অন্য কোনো রাষ্ট্রের করার কিছুই নেই বলে আবারও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার দেশের গণতন্ত্রের ভাগ্য আমার দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। কারও কাছে নালিশ করে সমাধান পেতে চাই না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের জনগণ। কেউ আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, এটা আমরা কখনও মনে করি না। তিনি বলেন, আমরা ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে আমাদের সমর্থন করার অনুরোধ বা আবেদন, এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একবারও এই বিষয়টি উচ্চারণ করিনি। আমরা উচ্চারণ করেছি বাংলাদেশের স্বার্থ, আমাদের জাতীয় স্বার্থ। একবারও আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নালিশ করিনি।
আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আমলে বন্ধ হওয়া আদমজীর শ্রমিকদের জন্য আলাদা মিল করার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। আদমজীর শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা, তাদের শ্রমকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারে আমাদের নেত্রী পথ খুঁজছেন। বিগ সাইজ না হলেও, ছোট একটা মিল করে হলেও এই শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা, তাদের শ্রমকে কাজে লাগানোর একটা পরিকল্পনা সরকারের আছে। আমাদের নেত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেন। আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে শ্রমিকদের প্রতি আহŸান জানিয়ে কাদের বলেন, চার-পাঁচ মাস পরেই তো নির্বাচন। আবারও নেত্রীকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনুন, ইনশাল্লাহ তিনি যে কথা দিয়েছেন সেই কথা রাখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।