পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; কিন্তু চাকরি দিতে না পারলেও সরকার ঘরে ঘরে মাদক-ইয়াবা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, পত্রিকা খুললেই দেখি বেগম জিয়া অসুস্থ, ইউনাইটেডে চিৎিসার প্রয়োজন, তারেকের নাগরিত্ব নেই, নির্বাচন অনিশ্চিত। সবকিছুই অনিশ্চিত। এ অবস্থার মধ্যেই জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, দেশের নারী সমাজের আজ করুণ দশা। নারীর ক্ষমতায়ন শুধু ঘরের মাঝেই। আর কোথায় নেই। শুধু মৃত্যু, আর নারী ও শিশু ধর্ষণ। নারী এতো নিষ্পেষিত তা বলে শেষ করা যাবে না। দেশটা অধঃপতনে গেছে। কারণ দেশে সুশাসনের অভাব। এইচ এম এরশাদ বলেন, দেশে বেকারের সংখ্যা ৬ কোটি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জনসংখ্যাকে নাকি জনসম্পদে রূপ দেবেন। কিন্তু এই বৃহৎ জনসংখ্যা জনসম্পদে নয়, নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুনেছিলাম ঘরে ঘরে নাকি চাকরি দেয়া হবে, হয়নি। এখন ঘরে ঘরে ইয়াবা। ডিজিটাল দেশ গড়ার কথা। দেশ এখন মাদকে টালমাটাল। মহান মে দিবস উপলক্ষে জাপা কাকরাইল কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা সমস্যা যে স্থায়ী রুপ নিচ্ছে এ জন্য সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতাই দায়ী।
আলোচনা সভায় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, শেখ মোঃ শান্ত প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে শ্রমিক সমাবেশে এইচ এম এরশাদ বলেন, সরকার দলীয় মধ্যম সারির এক নেতা বলেছেন আমি নাকি কখন কি বলি তার ঠিক নেই। এরশাদতো বেচেঁ আছে, আর আমার জন্য আপনারা বেচেঁ আছেন। তিনবার এই এরশাদের জন্যই আওয়ামী লীগ ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে। এবারও আমার আশায় আছেন। কিন্তু ভবিষৎ বহু দূর। আমার সম্পর্কে মেপে কথা বলবেন বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মাদার হিউম্যান পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। আমরা কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ। ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী সমস্যার রুপ লাভ করেছে।
দেশের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, আমাদের হাতে আজ কিছু নেই। গনতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, বেচেঁ থাকার অধিকার নেই। আছে শুধু শৃঙ্খল। আর এই শৃঙ্খল ভাঙ্গতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজ ভালো নেই। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকলে শ্রমিকে উন্নয়ন হতো। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের নতুন সূর্য উঠবে। এর জন্য দলকে আরো শক্তিশারী করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী না করলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।