পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের বিচার চাইলেন আওয়ামী লীগপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। পথে মানুষ মারার অপরাধে পরিবহন চালক শ্রমিকদের শাস্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে কুৎসিত লোক অবিহিত করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। একইসঙ্গে তিনি শাজাহান খানের মন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত মঙ্গলবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আরণ্যক নাট্যদলের ‘মে দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সাংস্কৃতির ব্যাক্তিত্ব মামুনুর রশিদ ও মান্নান হীরা বক্তৃতা করেন। আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব প্রখ্যাত অভিনেতা মামুনুর রশীদ নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের কঠোর সমালোচনা করে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার দাবি জানান।
কামাল লোহানী বলেন, ‘সড়কে চালকদের যোগ্যতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, যখন মানুষ মারার অপরাধে তাদের মৃত্যুদÐের দাবি ওঠে, তখন তার বিপরীতে অবস্থান নেন মন্ত্রী শাজাহান খান। মন্ত্রী হয়ে তিনি বলছেন চালকদের কুকুর-বিড়াল চিনলেই হবে। এই কুৎসিত লোকটি কী করে মন্ত্রী হয়?’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যখন আমরা বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছি, তখনি এই কুৎসিত লোক শাহজাহান খান কী করে মন্ত্রিসভার সদস্য হন? তিনি একইসঙ্গে শ্রমিক আন্দোলন করছেন, আবার মন্ত্রিত্বও জাহির করছেন- এটা কী করে সম্ভব?’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাস চালক-শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তিনি এখন সেই টাকার বলে মানুষ কিনে নিচ্ছে।’ নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশের ‘বহুল প্রচারিত’ একটি পত্রিকায় শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে লেখা পাঠালে তা ফেরত এসেছে। অর্থের জোর বড় সাংঘাতিক।’ কামাল লোহানী অভিযোগ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারার মাধ্যমে সরকার মুক্তবাক, মুক্তকণ্ঠ রোধ করতে চায়। এ সময় তিনি আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন।
শাজাহান খানকে ‘বিচারের কাঠগড়ায়’ তোলার দাবি জানিয়ে আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ২ শতাংশ মানুষ ৯৮ শতাংশ রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক বনে গেছে। উল্টোদিকে বাঙালির মধ্যে এখনও কর্মসংস্কৃতি আসেনি। বাঙালি সেই অলস আর কুঁড়েই থেকে গেছে।’ নাট্যব্যক্তিত্ব মান্নান হীরা বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা এখন সরকারের গান গায়। দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখন দুঃখ দুর্দশায় মৃতপ্রায়। অধিকার আন্দোলনের বদলে তারা সরকারি প্রচারণায় ব্যস্ত। তাদের কণ্ঠে শোনা যায় শোষকের জয়গান। ট্রেড ইউনিয়নের ম্যানেজমেন্ট এখন শোষকের সঙ্গে আপস করে শ্রমিকদের অন্ধকারে রেখেছে।’ ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।