পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপিকে দমনে সরকার এখন নতুন প্লেয়ার দুদককে (দুর্নীতি দমন কমিশন) ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গুম, খুন, হুমকি, ক্রসফায়ার, গ্রেফতার, ব্যবসা বন্ধ করে এতদিন বিএনপিকে দমন করা হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে সেটুকু শেষ করতে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুদককে নতুন প্লেয়ার হিসেবে দেখা যাচ্ছে। গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আমরা আগে জানতাম মানুষ আইনের আশ্রয় নেয়। কিন্তু যেখানে আইনের শাসনই নেই সেখান প্রতিকার চাওয়া মোটেই সাজে না। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই। এখন বিচারের রায় হয় না, রায় হয় রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসার। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের কথা বললেও বর্তমানে তারা নির্বাচনের আইনগুলো তাদের সুবিধামতো পরিবর্তন করেছে। নির্বাচন পরিচালনা করে যেসব সংস্থা সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তিনটি জিনিস দরকার। এগুলো হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করা। এ তিনটার কোনটাই বর্তমানে নেই।
বিএনপির নির্বাচনের যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন হলে কী হবে এটা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী জানে। নির্বাচনটা ক্যামনে হবে আমি তো দেখতে পারছি না। দেশে তো গণতন্ত্র, নাগরিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নেই। ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজত্বে বাস করছি। এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে নামার আহŸান জানান।
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, এটা কি শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন? ক্ষমতাসীনরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। ওখানে কারো কোন স্বাধীনতা নেই। ওখানে সরকারি দলের লোকজন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেইভাবে ছাত্রছাত্রীদের চলতে হবে। নাহলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হতে হবে, না হলে হল থেকে মধ্যরাতে বের করে দেওয়া হবে, কারো রগ কেটে দেওয়া হবে অথবা তাদেরকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে-পাশে যেতে দেওয়া হবে না। এসব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এই আন্দোলন।
সংগঠনের সভাপতি একেএম মহিউদ্দিন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ফরিদউদ্দিন ফরিদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর তাজমেরী এস এ ইসলাম, মোক্তাদির আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।