Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্র নটরাজ হত্যাকান্ডের শিকার সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে কলেজছাত্র নটরাজ চৌধুরীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এর বিচার চেয়েছে তার পরিবার। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান নটরাজের বাবা দেবাশীষ চৌধুরী ও মা লুনা চৌধুরী। নটরাজের মা পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক লুনা চৌধুরী বলেন, আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ছেলের বান্ধবী ও ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
গত ২০ এপ্রিল বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে নটরাজ চৌধুরীর (২০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নটরাজ নগরীর কুলগাঁও সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি তিনি।
লুনা চৌধুরী অভিযোগ করেন, চান্দগাঁও চন্দ্রিকা আবাসিক এলাকার এক তরুণী তার ছেলেকে হত্যায় জড়িত। রাহাত্তার পুল এলাকার যে বাসায় নটরাজের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, ওই বাসায় ওই তরুণীকে নিয়ে নটরাজ ছিলেন বলে মারা যাওয়ার পর জানতে পারেন লুনা। তিনি বলেন, সাত বছর আগে ওই তরুণীর সঙ্গে নটরাজের পরিচয় হয়েছিল। আমরা জানতে পেরে ওই মেয়ের পরিবারকে অবহিত করি এবং একটি অঙ্গীকারনামা করি, যাতে তারা আর একে অন্যের সাথে দেখাশোনা করবে না। এরপরও ওই মেয়ে আমার ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখে। আমাদের জমি ও সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই ওই মেয়ে এবং তার পরিবার আমার ছেলের পেছনে লাগে। তিনি বলেন, আগের মতো আর টাকা না পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ওই মেয়ের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ওই তরুণীর কথায় নটরাজ তার জমি বিক্রির টাকাসহ গত ৭ বছরে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নিয়েছিল। ওই মেয়ের কাছ থেকে ফোন পেয়েই আমরা ওই বাসায় যাই। পুলিশ বলেছে, দরজা ভেঙে লাশ নামিয়েছে। কিন্তু দরজা ভাঙার কোনো চিহ্ন পাইনি। লুনা চৌধুরী বলেন, নটরাজের হাতে, পায়ে ও হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন, কানে রক্ত এবং অন্ডকোষ ফোলা ছিল। পুলিশ জিডি লিখে আমাদের স্বাক্ষর নিয়েছে, কী লিখেছে, আমরা জানি না। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে নটরাজ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ