Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ খোলা নেই -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনি লড়াই ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই। ‘আগামী নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়ার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ’ বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তো সরকার জেলে রাখছে না। তাকে জেলে রাখছেন আদালত। আদালতে তারা ফাইট করুক। খালেদা জিয়ার ব্যাপারটায় তারা আইনিভাবে গেলে ভালো করবে। আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। তিনি আরও বলেন, তারা এখন আন্দোলন-আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলনে কেউ সাড়া দেবে না। আন্দোলনে সাড়া দেয়ার সময়ও নেই। সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। জনগণ এখন নির্বাচনের মুডে আছে, আর তারা ডাক দিচ্ছে আন্দোলনের।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বেগম জিয়াকে দেখেছেন। বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন ও চিৎকার করছেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে তারা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও রাজনীতি করছে। এখানে চিকিৎসাটা দরকার, সে ব্যাপারে সরকারের কোনও গাফিলতি হবে না।
কাদের বলেন, একজন কারাবন্দির চিকিৎসা কোথায় হবে, এটা বিএনপি ঠিক করে দিতে পারে না। আমাদের নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন, তখন আমরা কিন্তু বলিনি এই হাসপাতালে নিয়ে আসুন, ওই হাসপাতালে নিয়ে আসুন। এটা চিকিৎসকরাই ঠিক করবেন। দরকার হলে মেডিক্যাল বোর্ড ঠিক করবে তার চিকিৎসা কিভাবে হবে।
এদিকে গতকাল বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে বলে পুলিশ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে সেটি কী ভীতি প্রদর্শনের মধ্যে পড়ে?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে, সেটি দেখাক। বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘনের সেই প্রমাণ অভিযোগ আকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে পারে। কিন্তু তাদের মিথ্যা অভিযোগ করার কারণ কী? তিনি বলেন, গাজীপুর ও খুলনার কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে-এমন অভিযোগে যদি কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে, তাহলে সেটি কী ভীতি প্রদর্শনের মধ্যে পড়ে?
কাদের বলেন, গাজীপুরের মৌচাকে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে আওয়ামী লীগের নেতারা যদি বৈঠক করে, তাতে অন্যায় কী? এটা সিটি করপোরেশন এলাকা নয়। এ জন্য বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভুয়া অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর সিটি করপোরেশনের মতো গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনের আগে হেরে যায়। বিএনপি কি জনমত দেখে আঁচ করতে পারছে যে, নির্বাচনে ভরাডুবি অনিবার্য? এ কারণে আগেভাগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনার ক্ষেত্র তৈরি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দলকে (বিএনপি) মানুষ কেন নির্বাচিত করবে? এরা ক্ষমতায় এলে আবার দুর্নীতি করবে। হাওয়া ভবন খুলবে। সন্ত্রাস করবে।
কৃষক লীগের আলোচনা সভায় বিভিন্ন জায়গায় অহেতুক কমিটি দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এখানে যারা আছেন, তারা কতজন কৃষক? এ সময় মিলনায়তনে থাকা অতিথিদের বেশির ভাগই হাত তুলে নিজেদের কৃষক দাবি করেন। তখন তিনি মাথা নেড়ে না-সূচক সাড়া দিয়ে বলেন, ঢাকায় বসে কৃষক! কৃষক লীগের ধানমন্ডি, গুলশান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, নিউইয়র্ক শাখার কী দরকার? যেসব জায়গায় ফোকাস দেয়া দরকার, সেসব জায়গায় ফোকাস দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, তারেক রহমানের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব থাকল কিনা-তা নিয়ে দেশের জনগণের মাথাব্যথা নেই। বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। বাংলাদেশে তারেক রহমানকে তাঁর পাপের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি মাকসুদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার শামসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম খান।

 



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ১ মে, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    জনগন বলছেন, “ সংশোধন – ২০১৮” আমরা যা বলি তা করিনা যা করবো তা বলিনা, যে নিয়মে চলা দরকার সেইটার প্রয়োগ করিনা ৷ জেনে বুঝে সুযোগে আইনকে হাতে তুলে নাচাতে ভুলিনা, নীরহ যখন কড়া নাড়ে শুনেও যেন শুনিনা ৷ গাঢ়ে পড়লে বহনে নারাজ সংশোধনের খুজি বাহানা, গলা টিপে হত্যা করে এই অধ্যায় আর খুলিনা ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ