পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ট্রাফিক আইন পরিবর্তন প্রয়োজন উল্লেখ করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, ট্রাফিক (ল চেঞ্জ) বড়ই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দেশের লোক যদি মনে ট্রাফিক ল চেঞ্জ হওয়ার দরকার, তাহলে চেঞ্জ (পরিবর্তন) হবে। প্রয়োজন মনে না করলে হবে না। মানুষ মরতে থাকবেই, মরুক। গতকাল সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ল কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট, কমার্শিয়াল ডিসপিউট ও আর্বিট্রেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক আর্বিট্রেশন সিঙ্গাপুরে চলে যায়। আমাদের দেশের আর্বিট্রেশন কোর্ট গুলো আরো এপিশেয়ন্ট করা। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির আইন চেঞ্জ করার জন্য অলরেডি ফিল্ড ওয়ার্কি শুরু করে দিয়েছি। আর্বিট্রেশন অ্যাক্ট কিভাবে আরো কার্যকরি সম্ভব। যাতে অল্প সময়ের মধ্যে কম খরচে আর্বিট্রেশন হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশে যত ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে তত কমার্শিয়াল ডিসপিউট বাড়বে। ডিসপিউট বাড়লে হয় কোর্টে যাবে নয় আর্বিট্রেশনে যাবে। আমাদের দেশের কোর্ট গুলো সিআরপিসির আন্ডারে। এখানে কমার্শিয়াল ডিসপিউট রিজলভ করতে গেলে অনেক সময় লাগে। তার কারণে ইনভেস্টমেন্ট শাইআউট হচ্ছে না।
কমার্শিয়াল কোর্ট কিভাবে যুগপোযোগী করা যায়, নতুন কোর্ট করার প্রয়োজন আছে কিনা, এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করেছি। কারণ চিফ জাস্টিসের মতামত গুরুত্ববহন করে বলে জানান বিচারপতি খায়রুল হক।
তিনি বলেন, এছাড়া ট্রাফিক ল’ নিয়ে আলোচনা করেছি। ট্রাফিক ল চেঞ্জ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দেশের লোক যদি মনে ট্রাফিক ল চেঞ্জ হওয়া দরকার, চেঞ্জ হবে। আর যদি দেশের লোক মনে করে চেঞ্জ হওয়ার প্রয়োজন নেই তাহলে হবে না। মানুষ মরতে থাকবেই, মরুক। কেন পরিবর্তন দরকার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আজকেই আমার একটি জাতীয় দৈনিকে একটি ইন্টারভিউ বেরিয়েছে। তাতে অনেক কিছু এক্সপ্লেইন করেছি। যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যদি কেউ গাড়ী চালায় তার সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০০ টাকা। কার্যলক্ষেত্রে অনেক সময় দেখছি তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড। বা ৪০০ টাকা জরিমানা। লাইসেন্স ছাড়া চালিয়ে যদি এইটুকু পেনাল্টি হয় তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার গরজ তেমন কেউ বোধ করবে না।
বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ইদানিং তো আর একটা নতুন দেখছি, এক গাড়ী আরেক গাড়ীর ওপর উঠাই দিচ্ছে। যেটা আজকাল আসা যাওয়ার সময় দেখি। সড়ক দূর্ঘটনা কিভাবে বাড়ছে। মানুষের পা চলে যাচ্ছে হাত চলে যাচ্ছে। মাথা চলে যাচ্ছে। এভাবে তো কোনো সভ্য দেশ চলতে পারে না। এই জন্যই দরকার আইনের পরিবর্তন। তিনি বলেন, এটার এনফোর্সমেন্টও প্রয়োজন। আমাদের মনোবৃত্তি মনোভাব এটাও চেঞ্জ করা প্রয়োজন। গাড়ীর যে মালিক তার ছেলেও কাল মারা যেতে পারে। যে বিচারক ৪০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিচ্ছেন তার ছেলেও কাল মারা যেতে পারে। আইনের পরিবর্তন বড় প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।