পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমাদের দেশ থেকে যে পরিমাণ পণ্য ভারতে রফতানি করা হয় তার চেয়ে ১০ গুণ পণ্য সে দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এ সমস্যার সমাধান করতে আমাদের স্থলবন্দরগুলোর সেবার মান আরো উন্নত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ।
আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি রফতানি করা হয় তার মাত্র দুই শতাংশ স্থলবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চিত্র ভিন্ন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যতগুলো স্থলবন্দর আছে মাত্র দুটি স্থলবন্দর ছাড়া বেশিরভাগ স্থলবন্দরের মাল খালাশ ব্যবস্থাপনা অনুন্নত।
গতকাল রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে স্থলবন্দর সমস্যা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শোয়েব চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক করিম প্রমুখ।
শাহজাহান খান বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করছে। বেনাপোল ও সোনামসজিদসহ দেশের অন্যান্য বন্দরগুলো উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভোমরা বন্দরের ব্যাপারে উল্লেখ করেন। ভোমরা বন্দর দ্রæত বেনাপোলের কাছাকাছি সুবিধা দিতে প্রস্তুত হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
নৌ-মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশের আয় ছিল ২৬ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সেই আয় বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ দশমিক ৭৪ কোটি টাকাতে। সুতরাং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা চলছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে রফতানির ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি করা সম্ভব হয়নি। কারণ তাদের চাহিদা কম। কিন্তু পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে ভারতে আরও বেশি পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারেক করিম বলেন, বাণিজ্য খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তবে ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের চাহিদা কম। তাদের প্রধান টার্গেট পশ্চিমা মার্কেট। কিন্তু এই চিন্তা বাদ দিয়ে ভারতের সাথে ব্যবসা সৃষ্টি করলে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন করলে চলবে না। এর সঙ্গে মানবসম্পদ ও ব্যান্ডউইথ উন্নয়নও জরুরি।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।