পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু হেনা মুক্তি : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। গণতন্ত্রের মাতাকে কারামুক্ত করার আন্দোলনে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ সৃষ্টি করতে কেসিসি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী দুঃশাসন হঠিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তিনি নগরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার ২০ নং ওয়ার্ড এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোটে সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ সব কথা বলেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, কারা ব্যবসা করেন আর কারা তাদের গডফাদার তা নগরবাসী জানে। পত্রিকায় তাদের নাম ও ছবি ছাপা হয়। এই ওয়ার্ডে মাদকের ভয়াল ছোবল যুব সমাজকে কলুসিত করছে। মেয়র নির্বাচিত হলে একে শিকড় সহ উচ্ছেদ করবো ইনশাল্লাহ। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে দিতে হবে। কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অঙ্গিকার খালেকের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, একটি জাতির পরিবর্তনে মূল ভ‚মিকা রাখেন আমাদের মায়েরা। একজন মা পারেন তাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। তেমনি আধুনিক ও স্বাস্থ্যকর খুলনা গড়তে আমাদের মায়েরা মুল ভ‚মিকা রাখবেন। আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের সূচনা করবে। তিনি আরো বলেন মহানগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করা, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বয়স্ক প্রতিবন্ধীদের সামাজিক সুযোগ সুবিধা, যুবক ও যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষে কেসিসির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বছরের প্রথমেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিচ্ছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করবো। গতকাল তিনি নগরীর সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্কুলের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোর্শেদ আহমেদ রিপন তোষীাসহ শিক্ষক বৃন্দ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে সুজিত নন্দীর মতবিনিময়
গতকাল সকাল সাড়ে ৮ টায় পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ পদ দাসের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা অসিত বরন বিশ^াসের পরিচালনায় নগরীর দোলখোলা শিতলাবাড়ী মন্দিরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আমিরুর আলম মিলন, এ্যাড. সুজিত অধিকারী, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায় প্রমুখ।
‘১৩ মে থেকে খুলনা সিটিতে বিজিবি মোতায়েন’
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের দিকে দেশবাসীসহ সারাবিশ্ব তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘খুলনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে ১৩ মে থেকে সিটিতে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। আর প্রতিটি কেন্দ্রে ২২-২৪ জন নিরাপত্তা কর্মী ১২টি আমর্সসহ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরেও থাকবে র্যাবসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম।’ গতকাল সকালে জেলা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮ এর বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন পিছপা হবে না। বিশাল একটি যজ্ঞ নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাঠে নেমেছে, এই যজ্ঞে সবার সহযোগিতা করা উচিত।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কেসিসি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বা কিছু সংখ্যক কেন্দ্রে ইবিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।’
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন– খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যাসহ অনেকে।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৫ মে কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের টহল থাকবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন, যার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন।
জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে কেসিসির পাঁচ মেয়র প্রার্থী
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার পাঁচ মেয়র প্রার্থী মুখোমুখি হয়েছিলেন নগরীর ভোটারদের। গত শনিবার খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজনে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে সুজনের খুলনা জেলা সভাপতি প্রফেসর জাফর ইমাম সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংগঠনের জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা।
সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। মঞ্চে উপস্থিত পাঁচ মেয়র প্রার্থীকে অঙ্গীকারপত্র পাঠ করানো হয়।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে নগরীর যানজট নিরসনে কী উদ্যোগ নেবেন বলে প্রশ্ন করেন এক ভোটার। জবাবে খালেক বলেন, ‘আমি নগর পিতা (মেয়র) নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের মধ্যে ইজিবাইকসহ সব গণপরিবহনের নির্দিষ্ট সংখ্যায় আনা হবে। নগরবাসীকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন একটি যানজটমুক্ত নগরী উপহার দেবো।’ তিনি বলেন, ‘সবার পক্ষে নগরের উন্নয়ন সম্ভব হয় না। আমাকে নির্বাচিত করলে পানিবদ্ধতা দূর, সন্ত্রাসমুক্ত ও বস্তির উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।
বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, স্বপ্ন দেখাবো আমরা, সপ্ন বাস্তবায়ন করবো আমরা। নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা, মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত এবং সর্বোপরি গ্রিন ও ক্লিন সিটি গড়ে তুলবো। মঞ্জুকে তৃতীয় প্রশ্ন করার সময় একপক্ষ হট্টগোল শুরু করেন। এ অবস্থায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রশ্নকারীকে থামিয়ে দেন।
ইসলামী আন্দোলন মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুজাম্মিল হক বলেন, নির্বাচিত হলে মশা, সন্ত্রাস, দূর্নীতিমুক্ত খুলনা গড়ে তুলবো। তিনি সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহŸান জানান।
সিপিবি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু বলেন, নির্বাচিত হলে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও জলাবদ্ধমুক্ত খুলনা গড়ে তুলবো। বন্ধ শিল্প-কল কারখানা চালু ও বস্তির উন্নয়নে আন্তরিক হবো। তিনি ভাত কাপড়ের লড়াইয়ের সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন।
জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এস,এম শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত, মাদকমুক্ত ও বস্তিবাসীর উন্নয়নে কাজ করবো।
নগরবাসী পানিবদ্ধতা দূর, মাদক, সন্ত্রাস ও মশামুক্ত নগর এবং শহরের আবর্জনা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি তুলে ধরেন। পাশাপাশি খ্রীষ্টানদের জন্য আলাদা কবর স্থান, স্টিকারযুক্ত যানবাহন, পানি নিষ্কাশন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সিটি, বন্ধ কল-কারখানা চালু, সুন্দরভাবে ভোট প্রদানের সুযোগ এবং ২২ খাল দখল মুক্ত করারও দাবি জানান। নগরবাসীর পক্ষে এসব দাবি তুলে ধরেন- আইনজীবি এমএম মজিবর রহমান, নারী নেত্রী রেহেনা আক্তার, কাজী শহিদুল্লাহ রাজু, আকরাম হোসেন, আকতার হোসেন রজন, আ. রহমান, তৌফিকুর রহমান পিন্টু, মারিয়া মল্লিক, নাসির উদ্দীন, শাহানা আকতার প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।