গেলো বছর ২০১৭ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যারেল প্রতি মূল্য ছিল গড়ে ৫৩ ডলার। চাহিদা বেড়ে যাওযায় এবছর তেলের দাম গড়ে ৬৫ ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘কমোডিটিস মার্কেট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ত্রৈ-মাসিক ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা অর্থাৎ জ্বালানির দাম এবছর গড়ে ২০ শাতংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে ধারনা করা হয়েছিল জ্বালানির দাম ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। সে হিসাবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাড়ছে জ্বালানির দাম। প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশ কী পরিমাণ পণ্য উৎপাদন, আমদানি বা রফতানি করবে তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে চাল উৎপাদনের পরিমান ২০১৭ সালে তিন কোটি ৪৬ লাখ টন হতে এবছর (২০১৮ সালে) কিছুটা কমে তিন কোটি ২৭ লাখ টন হতে পারে। ফলে চাল আমদানির পরিমাণ এবছর ৩৬ লাখ টন পর্যন্ত হতে পারে। চিনি আমদানির আকারও ২১ লাখ টন হতে এবছর বেড়ে ২৯ লাখ টন হতে পারে। একইসাঙ্গে বাড়বে গম আমদানির পরিমানও। ২০১৭ তে বাংলাদেশ ১৪ লাখ ১২ হাজার টন তুলা আমদানি করেছে। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে এর আকার কিছুটা বেড়ে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার এবং ১৫ লাখ ৪৬ হাজার টন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে কৃষিজাত এবং কাঁচামালের দাম এবছর দুই শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া এবং আবাদ কমে যাওয়ায় এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসাথে ধাতব পদার্থের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাসও রয়েছে।