পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের মোহাম্মদপুর থানা কমিটি ঘোষণার পর থেকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। নতুন কমিটির সহ-সভাপতিসহ তিনজন ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই এ কমিটি বর্জন করেছেন।
সোমবার রাতে ৮ সদস্যের ঘোষিত নতুন এ কমিটির যাকে সভাপতি করা হয়েছে, রাজনীতিতে তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকা আর সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রদল সম্পৃক্ততার অভিযোগে মান-অভিমানে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। দলীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি সুরাহা এবং নয়া এ বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত করে সংগঠনে গতিশীলতা ও শৃঙ্খলার লক্ষ্যে অভিভাবক হিসেবে স্থানীয় এমপি এড,জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আট সদস্যের মোহাম্মদ থানা কমিটির ঘোষণা দেন গত সোমবার রাতে। আর কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন নতুন কমিটির সহসভাপতি শাকিল ইসলাম রাব্বি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক অনিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতীক হাসান শুভ।
এক বছরের জন্য অনুমোদিত কমিটির তিনজন সরে দাঁড়ানো নিয়ে সংগঠনের মধ্যে আলোচনা তৈরি হয়েছে। পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে শাকিল ইসলাম রাব্বি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আট বছরের।
এই দীর্ঘ সময়ে আমি চেষ্টা করেছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে কাজ করার জন্য। আমার মনে হয় অযোগ্য লোকের নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগ চলতে পারে না। যাকে সভাপতি করা হয়েছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মাত্র চার বছরের। তার চাইতেও অনেক যোগ্য লোককে এই কমিটিতে নিয়ে আসা যেত।’ কমিটির সদস্যদের পরিচয় ও জীবনবৃত্তান্ত যাচাই বাছাই করে নতুন করে কমিটি দেয়ার দাবি জানান সহসভাপতির পদ ছাড়া রাব্বি।
অন্য পদত্যাগী নেতারা জানান, যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে (নাইমুল হাসান রাসেল), সে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের সঙ্গে এক সময় সরাসরি যুক্ত ছিল। তার প্রমাণ আপনাদের (গণমাধ্যমের) কাছেও আছে। এ ধরনের একটি কমিটি দায়িত্ব পেলে, তা ছাত্রলীগের জন্য কখনোই ভালো হবে না। বরং এরা ছাত্রলীগকে অপমান করবে। তাই সকালে কমিটি দেখার পরই আমি পদত্যাগ করেছি। ছাত্রলীগের যে রাসেলকে মোহাম্মদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনি ২০১৪ সাল অবধি ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িতে ছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনের পর কিছুদিন তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন।
পদত্যাগী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক অনিক তার পদত্যাগপত্রে কোনো কারণ জানাননি। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতীক হাসান শুভ তার পদত্যাগপত্রে কমিটিটিকে ‘নোংরা রাজনীতি’ কমিটি বলে উল্লেখ করেছেন।
সদস্যদের পদত্যাগের কারণ এবং সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্নাকে ফোন করা হলে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।