Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করল বাম মোর্চা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারী সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। গতকাল তোপখানা রোডের কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। বলা হয় অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকসহ ব্যাংকে লুটপাট হচ্ছে। দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ধ্বংস হওয়ায় অর্থনীতির মেরুদÐ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এই দাবিতে আগামী রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
লিখিত বক্তব্যে বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে আর্থিক খাতে লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগের নামে ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি আত্মসাৎ হচ্ছে বা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে সরকার দলীয় বিবেচনায় চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকগুলোকে ক্রমেই নিঃস্ব ও দেউলিয়া করে তোলা হয়েছে। এসব ব্যাংকগুলোকে কার্যত পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে সরকার।
শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘সোনালি-জনতা-ফারমার্স-বেসিক ব্যাংকে লুটকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি লুট করা টাকা উদ্ধার না করে আবার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা এসব ব্যাংকে ঢালা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স¤প্রতি বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) এক শতাংশ কমানো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার বিধান করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত নিয়ে সরকারের এসব সিদ্ধান্ত এ খাতের লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতাকে আরো উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের স্বার্থে এসব সিদ্ধান্তে যে সরকারের শীর্ষপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তার প্রমাণ হল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ব্যাংক মালিকদের বিরাট অংকের অনুদান এবং তাদেরকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন।
বর্তমান সরকারকে অনির্বাচিত ও জবাবদিহিতাহীন সরকার আখ্যা দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্নীতি, লুণ্ঠন ও স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে এই অনির্বাচিত ও জবাবদিহিতাহীন সরকারের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এর দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ করা উচিৎ। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। এই লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিরোধ করতে না পারলে তা সমগ্র দেশ ও জাতীয় অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, গোটা দেশে যে অরাজকতা-নৈরাজ্য চলছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নৈরাজ্য তারই একটি অংশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা-বিবৃতি আমরা শুনতে পাইনি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজরা আরও প্রশ্রয় পাচ্ছে। ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের রণজিত কুমার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ