পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে সংগৃহিত ডিমের বিকশিত রেণু বিক্রি অব্যাহত আছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার)ও উৎসবমুখর পরিবেশে রেণু বিক্রি করেন বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন মূল্যবান এই রেণু। প্রথম দুইদিনের তুলনায় গতকাল দামও কিছুটা কম ছিল। বিক্রেতারা জানান, আর দু’একদিনের মধ্যে রেণু বিক্রি শেষ হয়ে যাবে। হাটহাজারী বিভিন্ন হ্যাচারী ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট বেচাকেনা। মদুনাঘাট হ্যাচারীতে সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে আসা ফখরুদ্দিন জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি হালদা থেকে এক কেজি রেণু কিনেছেন। এ রেণু থেকে পোনা দিয়ে নিজের পুকুরে মাছের চাষ করবেন তিনি। হালদার মা-মাছের রেণু থেকে যে পোনা হয় তা খুব দ্রæত বড় হয় এবং এ মাছ অন্য মাছের তুলনায় হয় সুস্বাদু। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হালদার মাছের পুষ্টি খুব বেশি।
রেণু বিক্রেতা আনোয়ার জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনো রেণু ক্রেতারা আসছেন। উপযুক্ত মূল্য দিয়ে রেণু বিক্রি করছেন তারা। এতে বিক্রেতাদের মতো ক্রেতারাও খুশি। গাইবান্ধা থেকে আসা সামসুল আলম মদুনাঘাট হ্যাচারীর ডিম সংগ্রকারী মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের কাছ থেকে ১ কেজি ৯শ’ গ্রাম রেণু ক্রয় করেন ৬৫ হাজার টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেণু ক্রেতাদের পলিথিনের ব্যাগে অক্সিজেন দিয়ে রেণু নিয়ে যেতে দেখা যায়। এই রেণু পলিথিনের ব্যাগের ভেতর সর্বোচ্চ ১৮-২০ ঘণ্টা রাখা যাবে বলে ডিম সংগ্রহকারীরা জানান।
গড়দুয়ারার ডিম সংগ্রহকারী মোঃ কামাল সওদাগর জানান, তিনি ফটিকছড়ির এক ক্রেতার কাছে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ১ কেজি রেণু বিক্রি করেন। মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর রেণু বিক্রেতা ও হ্যাচারীর দায়িত্বরত মোঃ শফি জানান, তিনি ৩ কেজি বিক্রি করেছেন ৫০ হাজার টাকা দরে। তিনি জানান, হালদা নদীতে যে পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে তাতে আরও কয়েকদিন রেণু বিক্রি করা হবে। তবে কিছু কিছু ডিম সংগ্রহকারী তাদের রেণু বিক্রি শেষ করেছেন। সকালে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট হ্যাচারী, মাছুয়াঘোনা হ্যাচারী ও শাহা মাদারী নামে তিনটি হ্যাচারী ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ২০ থেকে ২৫ জন ডিম সংগ্রহকারী রয়েছেন। তারা কয়েকটি গ্রæপে ডিম সংগ্রহ করেছেন। এখন তারা একসাথে রেণু বিক্রি করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।